বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন

মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের মুকুলসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোখলেসুর রহমান মুকুলসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এরা সবাই পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

এর আগে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, এ মামলায় মোট নয়জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালের ১২ জুলাই এসব অভিযোগ দাখিল করা হয়। এরপর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।

সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এই সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর। এরপর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালের ১২ জুলাই এসব অভিযোগ দাখিল করা হয়। এরপর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।

সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এই সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর। এরপর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তদন্ত শুরু হয়। এরপর একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিছুর রহমান মানিকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়।
যাতে তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

ওইদিন ধানমন্ডিস্থ অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। এসময় তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক, মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তখন আব্দুল হান্নান খান বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে তদন্ত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজন মারা গেছেন। এখন মামলার বাকি সব আসামিই পলাতক।

এদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুলতান ফকির ও এবিএম মুফাজ্জল হুসাইন। তারা সবাই ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাই থেকে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আহম্মদাবাদ উচ্চবিদ্যালয় রাজাকার ক্যাম্প, কানিহারী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করেন আসামিরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335