শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বিচার শুরুর জন্য মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন। মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে গেলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিন মামলায় পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত দুই আসামি মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু পলাতক রয়েছেন। তাছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে বাবুল আকতার, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার জেল হাজতে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন এহতেশামুল হক।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় যেহেতু অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে, সেহেতু মামলা বিচারের জন্য এখন অপেক্ষায় আছে। মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি।
এদিকে, আইনি জটিলতায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে বাবুল আকতারের দায়ের করা আগের মামলাতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে মামলার আসামি করা হয় বাবুল আকতারসহ ৭ জনকে। গত ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন মহানগর হাকিম আদালত। একই সঙ্গে মামলার পলাতক আসামি মুসা ও কালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর হাকিম আদালত।