মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সেলিনা হক একজন ব্যবসায়ী। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছেলে-মেয়েরাও দেশে নেই। এ অবস্থায় নিজেই হেলথকেয়ার অ্যাট হোম বাংলাদেশে (এইচসিএএইচ, বিডি) ফোন দিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
এরপর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে হেলথকেয়ার অ্যাট হোমের চিকিৎসক তাকে চিকিৎসাপত্রসহ স্বাস্থ্য সহকারী পাঠিয়ে দেয়। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসাপত্র ও স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেলিনা হকের মতো এভাবে শতশত মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে হেলথকেয়ার অ্যাট হোম। প্রযুক্তির মাধ্যমে কত দ্রুত চিকিৎসা নিজের ঘরে পাওয়া সম্ভব তারই উদাহরণ তারা।
করোনা মহামারি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও এব্যাপার আরও সতর্ক হওয়া। বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্ট পরিস্থিতি স্বাস্থ্যখাতে উদ্ভাবন নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তাকেও সামনে এনেছে। এখাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির সূচনা করা, উন্নত মডিউল নিয়ে আসাসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতের ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার ব্যাপারটিকে জোরদার করেছে কোভিড।
মহামারি চলাকালীন দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগীকে সেবা দিতে হয়েছে। এরপরেও প্রচণ্ড চাপের কারণে অনেক রোগীকে সেবা নিতে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ওই সময় স্বাস্থ্যসেবাখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে নতুন ও উদ্ভাবনী সব উদ্যোগ। এসব উদ্যোগের ফলে মানুষ বাসায় বসে সাশ্রয়ী খরচে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পেরেছেন। এমনই উদ্ভাবনী একটি উদ্যোগ হলো ‘হেলথ কেয়ার অ্যাট হোম’।
২০১৯ সালে গঠিত হওয়া স্বাস্থ্যসেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর কার্যক্রম শুরু করে। মানুষের দুয়ারে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার যুগান্তকারী ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরুর কারণে এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে এ উদ্যোগ। এইচসিএএইচ বাসায় গিয়ে যেসব স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- নার্সিং, মেডিকেল কেয়ারগিভিং, ফিজিওথেরাপি, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্স ও কাউন্সেলিং।
প্রতিষ্ঠানটি শুধু রোগীদের মানসম্মত সেবা দেওয়ার মধ্যেই নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখেনি। এইচসিএএইচ দেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তস্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেসের মাধ্যমে বিএসসি ডিগ্রিও দিচ্ছি।