শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

হাড় কাঁপানো শীতে চায়ের কাপে উষ্ণতার খোঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাইবান্ধায় গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাসও। দিনে কিছুটা সহনীয় থাকলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। পাশাপাশি শীতে জবুথবু মানুষগুলো উষ্ণতার খোঁজে ভিড় করছেন পাড়া-মহল্লা, মহাসড়কের পাশে ও গ্রামের চায়ের দোকানে। শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানগুলোর সামনে এখন চোখে পড়ে মাফলার জড়ানো মুখগুলো দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিচ্ছেন আর চা পান করছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে গাইবান্ধা পৌর শহরের ডিবি রোডে ট্রাফিক মোড় এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

চায়ের দোকানে কথা হয় গাইবান্ধা পরিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চা যে শুধু শীতলতা কাটিয়ে উষ্ণ করে তোলে তা নয়, নিয়ে আসে স্বস্তির আমেজ। একই সঙ্গে গড়ে তোলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও।’

চা খেতে আসা ডা. উত্তম দেবগুপ্ত বলেন, ‘শীতের কাঁপুনি নিয়ে জড়সড় হাতে এককাপ চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি মেলে। তবে শুধু স্বস্তি নয় চায়ের অনেক গুনাগুণও আছে। রং চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান করলে নানা উপকার পাওয়া যায়। এ চা বিতৃষ্ণা ও বমির ভাব দূর করে।’

চা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ‘দোকানে বেচাবিক্রি সারাবছরই ভালো। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চায়ের বিক্রিও বেড়েছে দ্বিগুণ। সাধারণত এখানে দুধ, লাল, লেবু, মাল্টাসহ আদা ও বিভিন্ন মসলা মেশানো চা বিক্রি হয়। তবে শীতে খেজুরগুড়ের তৈরি স্পেশাল চায়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335