শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীর তানোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করায় তার পেটের সাত মাসের সন্তানের মৃত্যু ঘটেছে। অন্তঃসত্ত্বা ওই স্ত্রীর নাম ময়না আক্তার মুক্তা (১৯)। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে তানোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ময়নার পেট থেকে সাত মাসের মৃত বাচ্চা প্রসব করান। ময়নার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে দেখে আজ শনিবার বিকেলে তাকে তানোর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ময়না। ১৩ মাস আগে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ময়না আক্তার মুক্তার সঙ্গে ওই ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়। রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না। বিয়ের পর রবিউল স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে দেবীপুর মোড়ের পাশে জালাল আর্মির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এক সপ্তাহ আগে রবিউল তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ময়নাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর আহত অবস্থায় বাসার ভেতরে রেখে তালা দিয়ে চলে যান। ময়না মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়নার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তিনি মাকে খবর দেন। মা এসে বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে যান। ময়নার অবস্থা দেখে তিনি তাকে তানোর থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নার নরমাল ডেলিভারি করান। তবে মৃত বাচ্চা প্রসব করেন তিনি। আজ শনিবার বিকেলে তানোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা করলে ময়না বলেন, ‘বিয়ের পর আমার স্বামী রবিউল আমাকে বলেছিল, আমার বাচ্চা হলে সে আমাকে তার তানোর সদরের জায়গা লিখে দেবে। জমি দেবে না বিধায় সে আমার পেটে লাথি, কিল-ঘুষি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ’ তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বাবু বলেন, ‘রবিউল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ময়নাকে মারপিট করেছে, এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জেনেছি। আমি রবিউলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম; কিন্তু সে আমার কথায় কোনো কর্ণপাত করেনি। ’ তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমি ওসি (তদন্ত) উসমান গনিকে তানোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম। ডাক্তাররা মৃত বাচ্চা প্রসব করিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব