মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ন

হুমকিতে বসত বাড়ীর সামনে সরকারী বাস্তুহারা নামে বালু উত্তোলন

রাকিব হোসেন সোহেল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রায়পুর থানা আওতাধীন ৮ নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বাসিন্দা ইউপি সদস্য আবুল হোসেন মেম্বারের যোগসাজশে বাস্তুহারা নামে বালু উত্তোলন।৮নং দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কালুর হাট ডাকাতিয়া নদীর সংলগ্ন পূর্ব দিকে মালিকানা জমির থেকে এই বালু উত্তোলন হচ্ছে।স্থানীয় গ্রামবাসীরা বাধা দিলে হুমকিতে বসত বাড়ির সামনে ড্রেইজার মেশিন বসিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম ভেঙ্গে বলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এবং প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে জোরশে বালু উত্তোলন করতে দেখা যাচ্ছে।এলাকাবাসী আরও জানান, সরকারি বাস্তহারার জন্য ড্রেইজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন চলবে বলে হুমকি দিয়ে থাকেন আমাদের পরিবারের সদস্যদের কে আবুল হোসেন মেম্বার।এইসব কথা অভিযোগে জানা যায় আবুল হোসেন মেম্বারের বিরুদ্ধে। এছাড়া আবুল হোসেন মেম্বার এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী পানি উন্নয়ন বোডের বেড়ী বাধের জায়গা বেদখল দিয়ে দোকান পাট করা। এবং পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের সাইট লাইন বেড়ী বাধের বিভিন্ন দোকানে সংযোগ দেওয়া থেকে শুরু করে আরও বহু ধরণের সরকার বিরোধী অনিয়মের কাজের সাথে জড়িত আছে আবুল হোসেন মেম্বার।দীর্ঘ ১০দিন একটানা দিন রাত ২৪ ঘন্টা চলছে অবৈধভাবে ইউপির বালু উত্তোলন।এতে করে রাত্রে আমাদের ঘুমানো এবং ছেলে মেয়ের পড়াশোনা ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। এই ড্রেইজার মেশিনের শব্দের কারণে কানের ভাশি বন্ধ হয়ে আসছে। এছাড়া আমাদের পাশে রয়েছে ডাকাতিয়া নদী তার পূর্ব দিকে হচ্ছে আমাদের বসতবাড়ি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যকে বারবার বলা সত্বেও সে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। বরং সে দেশের আইন কানুন প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে আমাদের উপর জুলুম করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।আমাদের পাশের জমির মালিক আইয়ুব আলী হাওলাদার।আমরা শুনেছি আইয়ুব আলী হাওলাদার বালু মাটি বিক্রি করেছে আবুল হোসেন মেম্বারের কাছে।পরে দৈনিক গণজাগরণের মুঠোফোন থেকে কল করে জানতে পারি আবুল হোসেন মেম্বারের নিকট বালু বিক্রি করা কথা সত্য।৬নং ইউপি সদস্য আবুল হোসেন মেম্বার বলেন, বাস্তুহারার জন্য আইয়ুব আলী হাওলাদার মালিকানা জমির থেকে বালুর কিনার অনুমিত দিয়েছে (নির্বাহী অফিসার) ও ভূমি কর্মকর্তা এসিল্যান্ড স্যারে।আপনার কিছু জানার থাকলে, অথবা বলার থাকলে উপরে প্রশ্ন করে জানতে পারেন। এঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধির মুঠোফোন থেকে কল করা হয়।কিন্তু মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ার কারণে বালু উত্তোলন বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি।একপর্যায় বালু মাটি বিক্রির বিষয়ে জানার জন্য জিজ্ঞেস করি আইয়ুব আলী হাওলাদার কে। তিনি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি বালু বিক্রি করিনি। আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে আবুল হোসেন মেম্বার। আমি কোনো টাকার বিনিময়ে আমার জমির থেকে ড্রেইজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করতে বলা হয়নি। বরং সেই আমাকে টাকা দেওয়া কথা বলছে, আমাকে রাজী করাতে পারেনি। আমার বলা হয়েছে এখান থেকে ড্রেইজার মেশিন সরিয়ে নেওয়ার কথা।কারণ হচ্ছে সরকারী বাস্তুহারা বালু বেশি লাগবে, তা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তায় ইউপি সদস্য কে নিশেধ করা হয়েছে বালু না নেওয়ার ব্যাপারে সেই কিছুতে শুনছেন না।এদিকে ভূক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা রায়পুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ প্রশাসন ও লক্ষীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে বাস্তুহারা নামে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিকদের উপস্তিতিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335