শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

মারাত্মক ঝুঁকির মুখে দক্ষিণ পূর্ব উদমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

রাকিব হোসেন সোহেল লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুরের রায়পুরে দক্ষিণ পূর্ব উদমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ দীর্ঘ ৫বছর ধরে দেখা যাচ্ছে।এই ভবনটি পুনোরায় নির্মাণ না করায় দিন দিন ঝুকি বেড়ে যাচ্ছে।১০ শে নভেম্বর ২০২২ইং তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে দৈনিক গণজাগরণ সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য রায়পুর থেকে ২নং উত্তর চর বংশী ইউনিয়ন হয়ে আসার পথে হঠাৎ তাকাতে দেখতে পান,রায়পুর থানাধীন উদমারা ৯নং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আনন্দ বাজারের দক্ষিণ দিকে, দক্ষিণ পূর্ব উদমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবহেলিত কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনটির দুর অবস্থা দেখে যাওয়া হয় দৈনিক গণজাগরণ কে, দক্ষিণ পূর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অফিস কক্ষে।সেখানে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের সর্ম্পকে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান।এই স্কুলের ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে,তিনি আরও জানান, এই স্কুলে আমি যোগদান করি ২০০৩ সালে। স্কুলে রয়েছে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৭২জন, প্লেই থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত।স্কুল ভবণটির দৈঘ্য- ৬৫ ফুট, প্রস্থ্য- ৩০,ফুট। স্কুলে রয়েছে মহিলা পুরুষ মিলে চার জন শিক্ষক।তার মধ্যে মহিলা দুজন শিক্ষিকা ও পুরুষ দুজন শিক্ষক।গত কয়েক বছর ধরে এ স্কুলটি অবহেলার কারণে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে।প্রতি বছরে যে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে তা দিয়ে স্কুলে ছোট খাটো কাজ গুলোও শেষ করা যায়না।বরং নিজ পকেট থেকে দিতে হয় মাঝের মধ্যে বললেন প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন।স্কুলে শিক্ষার্থীদের খেলনার, দোলনা,খেলা দুলার খরচ, সরকারি বিভিন্ন দিবস পালিত খরচ।মাসিক অনুষ্ঠানের খরচ, স্কুলে ইলেকট্রিক খরচ সহ এই স্কুলে আরও অনান্য খরচ রয়েছে যা হিসাব রাখার মতো নয়।অবহেলিত ও জর্জরিত স্কুল ভবণটির সর্ম্পকে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে কয়েক বার বলা হয়েছে।এবং লিখিত ভাবে জানিয়েছি,তারা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন।কিন্তু এখন পর্যন্ত স্কুল ভবণটি পুনোরায় নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে- না।এছাড়াও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখে বলেন, এখনো না-কি আমার স্কুল ভবণটি ভালো আছে বলে জানিয়েছেন। আমি গত করোনা কালীন সময়ে বাৎসরিক বরাদ্দের টাকা দিয়ে ৫টি কক্ষের উপরে সাধে কাজ করাই।সেই কাজ দেখে ইনঞ্জিনিয়ার সাহেব বলছে স্কুল ভবণটি ভালো আছে।আপনারা দেখুন কত বড় ঝুকি নিয়ে আমার সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকা গণেরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। এদিকে স্কুল প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলে ছিলো দীর্ঘদিন ধরে আল ফাতাহ মাদ্রাসার আওতাধীন, যার ফলে স্কুল ভবণটি ছোট ছিলো।গত বছরে তারা স্কুল ভবণের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন, না থাকা দুটি শ্রেণী কক্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্তমানে ট্রিন দিয়ে করা রুমে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে শিক্ষকদের।এদিকে দৈনিক গণজাগরণ স্কুল ভবণটির সর্ম্পূণ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে, প্রধান শিক্ষক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, স্কুলটির আশেপাশে রয়েছে অগণিত কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসা।যার কারণে দক্ষিণ পূর্ব উদমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা অনেক কম রয়েছে।এই কারণে এই স্কুলে কোনো বড় ধরণের বরাদ্দ আসেনা। এই জন্য স্কুল ভবণটির দুরঅবস্থা দেখা যাচ্ছে।আমি ও আমার সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকা দেরকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা ভবণে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে।যে কোনো সময় দুর ঘটনা ঘটতে পারে।তাই আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও লক্ষীপুর রায়পুর ২ আসনের সাংসদ লক্ষীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।এবং সরকারের কাছে স্কুল ভবণটি পুনোরায় নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ দেওয়াই একান্ত জরুরী।তাই দক্ষিণ পূর্ব উদমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে আমি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর শিক্ষা অফিসার,ও এমপি, মন্রী সহ সকল কর্মকর্তা মহোদয় এর নিকট একটি জর্জরিত স্কুল ভবণের পক্ষ থেকে পুনোরায় নির্মাণ চাই।একই সাথে আমি দক্ষিণ পূর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলাউদ্দিন ও স্কুল কমিটির সদস্য সহ অত্র এলাকার স্থানীয় গণ মানুষ স্কুল ভবণটি সংস্কার এবং উন্নয়ন পুনোরায় জরুরী নির্মাণের কাজ চেয়ে দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিকদের উপস্তিতিতে।তারা বলেন যে কোন সময় এই স্কুলটি ভেঙ্গে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এবং দুষে পড়তে পারে ভবণটি।অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপে কামনায়, স্কুলটির সংস্কার এবং উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335