শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিস্তৃত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে দেশকে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে হবে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় এক সেমিনারে বক্তারা এই গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ‘লুক আফ্রিকা: এক্সপ্লোরিং নিউ হরাইজনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিআইআইএসএস মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক: বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত দিকনির্দেশ’ শীর্ষক মূল বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্য অধিবেশনে পাঁচটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা রোজানা রশীদ ‘বাংলাদেশ-আফ্রিকা অভিবাসন করিডোরের সম্ভাবনা কাজে লাগানো’, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) সিআই-এএফডব্লিউসি উইং এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাপ্রোচ অন পিস কিপিং অপারেশন্স টু আনলক দি গোল্ডেনগেট অব আফ্রিকা’ বিষয়ক উপস্থাপনা করেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ‘আফ্রিকায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত সুযোগ’, ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শামস মাহমুদ ‘আফ্রিকায় ব্যবসায়িক সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ: বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি’ বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও বিআইআইএসএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. সুফিয়া খানম ‘একত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা: আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্ভবাবনাসমূহ’ বিষয়ক উপস্থাপনা করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, সাবেক কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, গবেষক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন থিংক ট্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।