শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ১২ নভেম্বরের বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে শরীয়তপুর থেকে এরইমধ্যে কয়েকশো নেতাকর্মী ফরিদপুরের কোমরপুরের জনসভাস্থল মাঠে পৌঁছেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ–গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে বুধবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ফরিদপুর শহরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে পৌঁছান।
শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য গাউসুর রহমান জানান, রাত ৮টার দিকে তারা চারটি ট্রাকযোগে শরীয়তপুর থেকে রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের গণসমাবেশস্থলে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে খোকন তালুকদার ছাড়াও শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহানদার আলীসহ অন্য নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ–গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদার বলেন, প্রথম দল হিসেবে রাতে শরীয়তপুর থেকে নেতাকর্মীদের একটি অংশ এখানে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরও নেতারা আসবেন। প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী শরীয়তপুর জেলা থেকে এই গণসমাবেশে যোগ দেবেন। শরীয়তপুরের বিএনপি নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলেই রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের এই বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়ক শামা ওবায়েদ বলেন, সরকার এই গণসমাবেশে আসা জনস্রোত বাধাগ্রস্ত করতে নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এজন্য নেতাকর্মীরা আগেভাগেই সমাবেশস্থলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সারাদেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১২ নভেম্বর বেলা ১১টায় গণসমাবেশ শুরু হবে। তবে যেহেতু পথে পথে নানা বাধা এবং গণসমাবেশে জনসমাগম সংকুচিত করতে সরকার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাই নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সভাস্থলে আসবেন।
ফরিদপুরের বিএনপি নেতারা বলছেন, এই গণসমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। সমাবেশস্থল থেকে শহর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হবে এমন প্রস্তুতিই তারা নিচ্ছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, মামলা–হামলা, গুম, হত্যা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। তার আগে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, সমাবেশ ঘিরে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও স্বাভাবিক রাখতে, জনগণের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক দায়িত্ব নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করছে।