শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

সরকারি শিল্পকারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সরকারি কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা খুব সীমিত। উন্নয়নের মাধ্যমে কারখানাগুলোকে উৎপাদনশীলতার মডেল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (০২ অক্টোবর) জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত এনপিও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় বেশ কিছু কারখানা পরিচালনা করছে। তাদের উৎপাদনশীলতা খুব কম। বেশ পুরোনো। এসব কারখানা এমন হওয়া দরকার যেন সেগুলো নিজ নিজ খাতে উৎপাদনশীলতার মডেল হয়ে ওঠে। সেজন্য ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনকে (এনপিও) কাজ করতে হবে।

‘বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি এসেছে। কিন্তু উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে আমরা সে সুবিধাগুলো কতটা কাজে লাগাতে পারছি, সেটা মূল্যায়নের সময় এসেছে। এসডিজিতে আমাদের উৎপাদনশীলতার টার্গেট দ্বিগুণ করার কথা। সেটা একটি খুব বড় চ্যালেঞ্জ। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা অর্জন করতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে আমরা উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অনেক এগিয়ে নিয়েছি। ক্রমবর্ধমান জমি কমার পরেও উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আগে এক বিঘা জমিতে ৪-৫ মণ ধান হত, এখন সেটা ১৭-১৮ মণ হচ্ছে। তারপরও আরও ভালো প্রযুক্তি ও জাত প্রতিস্থাপণের চেষ্টা চলছে, যেন ফলন ৩০ মণ দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, আমাদের গাভীগুলো আগে ৫ লিটার দুধ দিত। এখন উন্নত জাতের কারণে ২৮-৩০ লিটারও দুধ দিচ্ছে। কিন্তু ইউরোপে আরও ভালো জাত ও লালন-পালনের প্রযুক্তি রয়েছে। সেখানে ৬০ লিটারও দুধ দেয়। সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

‘আবার প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। অনেক কৃষক ধান উৎপাদনে সার ও সেচের প্রয়োজনীয়তা ঠিক রাখতে পারছে না। কেউ বেশি দিচ্ছে, আবার কেউবা কম। সেটা অনেক সময় ঘাটতির কারণ হচ্ছে। খরচও বাড়াচ্ছে। কারণ চাষে ৩০ শতাংশ খরচ সেচে। আমাদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাত্রা শিখতে হবে।’

এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সেরা অবস্থানে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান এখন ৩৭ শতাংশ। যা ক্রমবর্ধমান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সম্ভব হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335