শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
এ আর হানিফঃ বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা উপজেলার বেতাগী উপজেলার ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের ডিসির হাট সংলগ্ন এলাকায় গৃহহীন মানুষদের জন্য সরকার নতুন করে ঘর বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একটি মহল ওই সব ঘর বরাদ্দের জন্য গৃহহীনদের পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে স্বাবলম্বী মানুষের মধ্যে বরাদ্দ করছে। স্থানীয়রা জানান,১ নং বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবাব হোসেন খান নয়ন, বিবিচিনি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মুজিবুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের মহিলা সদস্য জাকিয়া সুলতানা, স্থানীয় বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নজরুল ইসলাম নান্নু সহ একটি চক্র এসব ঘর বরাদ্দের বিনিময়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিটি ঘর বরাদ্দ বাবদ তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করছেন। নয়ন চেয়ারম্যান,মেম্বার মজিবুর রহমান স্থানীয়দেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে টাকা দিতে হবে বলে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে এসব অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিবিচিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুক্তভোগী কুদ্দুস মৃধা, দুলাল মৃধা সংবাদ কর্মীদের জানান মজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ বাবদ তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত নারী সদস্য জাকিয়া সুলতানার স্বামী শহীদ মৃধা দুলালের কাছ থেকে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। দুলাল মৃধা বলেন, আমি নতুন ঘর পেতে মহিলা মেম্বারের স্বামী শহীদ মৃধাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি তিনি জানিয়েছেন ঘর পেতে হলে আরো কিছু টাকা দিতে হবে। বিবিচিনি ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা কুদ্দুস মৃধা জানান, আমিও নতুন ঘর পাওয়ার আশায় মজিবর মেম্বার ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নজরুল ইসলাম নান্নুকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। বেতাগী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারসহ মোট ১১টি ঘর বরাদ্দ এসেছে। এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসুহৃদ সালেহীন জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।