শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে প্রতিবেদন দিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের করা সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগামী রোববার (৭ আগস্ট) পর্যন্ত সময় দিয়েছেন
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বিষটি নিশ্চিত করেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রেলওয়ের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সময় দিয়ে আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ঠিক করেছেন।
রেলের অব্যবস্থাপনা বন্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির বিষয়টি নজরে নেওয়ার পর ২১ জুলাই হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়েছিলেন।
ওইদিন হাইকোর্ট ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। যদি যাত্রী নেওয়া বন্ধ করা না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান আদালত।
রেলের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে গত ৭ জুলাই কমলাপুর স্টেশনে একক অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী।
গত ২৫ জুলাই রাতে রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানে রেলওয়ের পক্ষ থেকে তার সব দাবি বাস্তবায়নে আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরই কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন রনি। যদিও শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাজশাহী রেলস্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছেন তিনি।
মহিউদ্দিন রনির ৬ দফা
যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট, টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, ট্রেনে ভ্রমনের সময় জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন।