শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
নাজমুল হাসানঃ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হোসেনপুর এলাকায় লুটপাটে বাধা দেয়ায় অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের উপড় হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় হোসেনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার এর উপর এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। হামলার পর স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল হতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। এ বিষয়ে চান্দিনা থানায় ৪ জনকে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঐ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আ: রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।চান্দিনা থানার মামলা নং ১১/২০২২ ইং। মামলায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলেন – মো.শাহ আলম ভূইয়া (৪০) পিতা : মৃত আ: মতিন ভূইয়া, মো. বিল্লাল হোসেন (৪২)পিতা : আ: খালেক, মো. আবু সাঈদ (২৫) পিতা : মো.রতন, মো. হুমায়ুন (২৫) পিতা : মো. সুজা মিয়া সর্ব সাং মহিচাইল ভূইয়া পাড়া চান্দিনা। মামলার সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার উত্তর হোসেনপুর এলাকায় মো. শাখাওয়াত হোসেন সাকু মিয়াজি নামক এক উদ্যোক্তার মৎস্য প্রজেক্টে কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী করে ঐ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। গত ১৪ জুলাই সকাল ৯ ঘটিকার সময় সন্ত্রাসীরা মৎস খামারে জোরপূর্বক অনধিকার প্রবেশ করে। খামারের পাড়ে একটি ঘরের মধ্যে মজুদ করা মাছের খাবারসহ নানা সরঞ্জাম লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেন কেয়ারটেকার। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ কেয়ারটেকার কে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে অজ্ঞান করে ফেলে,এবং খামারের মধ্যে টিন সেট ঘরে থাকা মালামাল লুটপাট করে গাড়ি যোগে নিয়ে পালিয়েযায়। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে এলাকায় ২৬৪ শতাংশ জমিতে মাছের খামার ও গাছ লাগানোর চুক্তি হয় মো. এমদাদুল্লা মিয়াজি ও ফরিদা ইয়াসমিন এর সাথে। ২০১৯ সাল থেকে চুক্তিবদ্ধ জমিতে করা প্রজেক্টে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হয়। মাছের খামারের মালিক শাখাওয়াত হোসেন সাকু মিয়াজি সংবাদ কর্মীদের জানান, আমি ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রজেক্ট দাঁড় করেছি এবং দেখাশোনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ সদস্যকে খামারটি দেখা শুনা করতে নিয়োগ দিয়েছি। সে সুন্দর মতো দেখাশোনা করে আসছিল। আমি মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া করি। হঠাৎ গত ১৪ জুলাই সকালে ফোন পাই যে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসীরা আমার খামারের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে এবং কেয়ারটেকার কে মারধর করেছে এবং স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। পরে একটু সুস্থ হলে তাকে নিয়ে চান্দিনা থানায় গিয়ে ঘটনার বিষয়টি চান্দিনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জানালে তিনি ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন চান্দিনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ। তিনি আরও বলেন,আমার জানা মতে চান্দিনা থানার ওসি একজন ভালো মানুষ সে অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না। এই সমস্ত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে সব সময় কঠোর অবস্থান নেন তিনি। স্থানীয় হোসেনপুর এলাকার কয়েক বাসিন্দারা সংবাদ কর্মীদের জানায়, শাহ আলম ভূইয়া পিতা : আ: মতিন ভূইয়া অত্র এলাকার চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। শাহ আলম ভূইয়ার বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। চান্দিনা থেকে ঢাকায় যে সমস্ত ফেনসিডিলের চালান যায় সব ফেনসিডিলই শাহ আলম ভূইয়ার। তার অগনিত সহযোগী রয়েছে তাদের মাধ্যমে প্রতি দিনই ফেনসিডিল ঢাকায় ঢুকছে। হোসেনপুর এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত শাহ আলম ভূইয়া।
অগ্রদুত বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষকের বিরুদ্ধে তক্ষক দেখিয়ে প্রতারনার অভিযোগ রাজধানী যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় তক্ষক বিক্রির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে অগ্রদুত বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষক মোঃ জসিম আহমেদের বিরুদ্ধে।তক্ষক নিয়ে লোভ দেখিয়ে সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে শিক্ষক জসিম আহমেদ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলেও জানা গেছে্।শিক্ষকতা পেশাকে পুঁজি করে মানুষকে রাতারাতি বড়লোক করার লোভ দেখিয়ে তিনি এসব অপকর্ম করে থাকেন।তার নিজস্ব একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেকার যুবকদের টার্গেটে পরিনত করে দিনের পর দিন তিনি এসব অপরাধ করেও থাকেন ধরা ছোয়ার বাইরে।আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে প্রতারক চক্রটি সক্রিয় রয়েছে।তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে থাকেন যাত্রাবাড়ি থানা এলাকার কাজলা ছনটেক এলাকায়।যাত্রাবাড়ি থানা এলাকার কাজলা ছনটেকে অবস্থিত অগ্রদুত বিদ্যা নিকেতনে তিনি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেণ।