বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

শিবগঞ্জে কোরবানী ঈদ উপলক্ষে ৪৩ হাজার পশু লালন পালন করছেন খামারীরা

সাজু মিয়া (শিবগঞ্জ) বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক গরুর খামার । উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার খামারী ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ষাড় ১৮ হাজার ৪শত ৪২, বলদ ৫ হাজার ১শত ৫৭, গাভী ২দুই হাজার ৬শত ৯৮, মহিষ ৯৮, ছাগল ১৩ হাজার ৭শত ২৮, ভেড়া ৩ হাজার ৭শত ২২ গবাদি পশু মোটা তাজা করার লক্ষ্যে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ উপজেলার হাট বাজার গুলোতে কুরবানীর পশু উঠতে শুরু করেছে।
গত ২ বছর যাবৎ করোনা ভাইরাসের কারণে খামারীরা কোরবানীর পশু তেমন হাটে তুলতে পারেনি। তবে এবছর গো খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায়, বাজার দাম নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এখানকার খামারীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নে ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে গরু মোটা তাজা করছেন খামারীরা। গরুর মাংস উৎপাদনের দিক থেকে এ উপজেলা অনেক এগিয়ে। উপজেলার খামারীদের মধ্যে অনেক বেকার যুবকেরা সরকারি , আধা সরকারি, এনজিও চালিত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলছে। উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৫ হাজার গরু মোটা তাজা করণ খামার গড়ে উঠেছে। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত গরু থেকে ৯৫ ভাগ মাংসের চাহিদা পূরণ করা হয়। ঈদুল আযহায় গরু বিক্রি করার জন্য প্রায় ষাড় ১৮ হাজার ৪শত ৪২, বলদ ৫ হাজার ১শত ৫৭, গাভী ২দুই হাজার ৬শত ৯৮, মহিষ ৯৮, ছাগল ১৩ হাজার ৭শত ২৮, ভেড়া ৩ হাজার ৭শত ২২ গবাদি পশু লালন পালন করছে খামারীরা।
এ উপজেলায় গবাদীপশু কেনা বেঁচা করার জন্য বড় হাট গুলোর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী মহাস্থান হাট, বুড়িগঞ্জ হাট, আলিয়ারহাট, দাড়িদহ হাট, ডাকুমারা হাট উল্লেখ করার মতো। এই হাট গুলো ছাড়াও ঈদুল আযহায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ২৮ থেকে ৩০ টি অস্থায়ী হাট বসে।

এখানকার গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়। খামারে গরু মোটা তাজা করণের প্রক্রিয়া চলছে। এখন শুধু ঈদুল আযহার আপেক্ষায় দিন গুনছে এলাকার গরু খামারীরা। উপজেলার গরু ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী , সিলেট, চট্টগ্রাম সহ দেশের বড় বড় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা এলাকার আর.কে এগ্রো ফার্ম এর স্বত্বাধিকারী রাহাত খান বলেন, ৬০-৭০টি গরু বিক্রি করবেন। তিনি বলেন, এ বছর গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১টি গরু জন্য প্রতি মাসে ৩-৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি আশা করেন গত বছরের চেয়ে এ বছর ভালো মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারবেন। তবে তার খামারে বস ও লাল বাহাদুর নামে ২টি ষাড় উল্লেখ যোগ্য। এছাড়ার তাঁর খামারে রয়েছে, শাহীওয়াল, ব্রাহামা, শংকর সহ বিভিন্ন জাতের পশু রয়েছে। তিনি ৫ লক্ষ টাকায় বস ও ৪ লক্ষ টাকায় লাল বাহাদুরকে বিক্রি করতে চান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান আরও বলেন, খামারীদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। তাদের পালনকৃত গবাদীপশু নিয়ে যে কোন সমস্যায় প্রাণি সম্পদ বিভাগ পাশে থাকবে। এ উপজেলায় ৩৬ হাজার ৩ শ ৪৯ কোরবানির পশুর চাহিদা থাকলেও এ বছর তুলনা মূলক ভাবে তার চেয়ে বেশি ৪৩ হাজার ৮শ ৪৫ পশু লালন পালন করেছে এ উপজেলার খামারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335