শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

কালিদাসের জন্ম ও ইবনে সিনার প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক: মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

২২ জুন ২০২২, বুধবার। ৮ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা
১৫৫৫- সম্রাট হুমায়ুন সিন্ধু নদী পার হয়ে লাহোর দখল করে নেন এবং সিকান্দর সুরিকে দিল্লীর সিংহাসন থেকে উৎখাত করেন।
১৬৩৩- পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে- এই অভিমতের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলির বিচার শুরু হয়।
১৯৩৯- সুভাষচন্দ্র বসু মুম্বাইয়ের সর্বভারতীয় অধিবেশনে সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৮৬- বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিখ্যাত হ্যান্ড অফ গড গোলটি করেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
২০০২- ইরানে ভূমিকম্পে ৫ শতাধিক লোক নিহত।

জন্ম
১৮৮৯- রবীন্দ্রযুগের বিশিষ্ট রবীন্দ্রানুসারী কবি, প্রাবন্ধিক ও পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা কবি শেখর কালিদাস রায়। বর্ধমান জেলার কড়ুই গ্রামে জন্ম তার। তার রচিত কাব্যগুলোর মধ্যে কুন্দ (১৯০৭), কিশলয় (১৯১১), পর্ণপুট (১৯১৪), ক্ষুদকুঁড়া (১৯২২) ও পূর্ণাহুতি (১৯৬৮) বিশেষ প্রশংসা লাভ করে। গ্রামবাংলার রূপকল্প অঙ্কনের প্রতি আগ্রহ, বৈষ্ণবপ্রাণতা ও তত্ত্বপ্রিয়তা ছিল তার কবিতাগুলোর বৈশিষ্ট্য। তিনি আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। তিনি রংপুর সাহিত্য পরিষদ ‘কবিশেখর’ উপাধি (১৯২০), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ (১৯৫৩) ও ‘সরোজিনী স্বর্ণপদক’, বিশ্বভারতীর ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (১৯৬৩) এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি (১৯৭১) প্রদান করেন।

১৯১২- বাঙালি লেখক ও বাংলা সাহিত্য-পত্রিকা ‘দেশ’এর সাবেক সম্পাদক সাগরময় ঘোষ।
১৯২৩- প্রথিতযশা বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক গৌরকিশোর ঘোষ।
১৯৩২- ভারতীয় অভিনেতা ও থিয়েটার শিল্পী অমরিশ পুরি।

মৃত্যু
১০৩৭- মধ্যপ্রাচ্যের কিংবদন্তীতুল্য দার্শনিক, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী ইবনে সিনা। তার পুরো নাম আবু আলি হুসাইন বিন আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান বিন আলী ইবনে সিনা। বুখারার (বর্তমান উজবেকিস্তান) অন্তর্গত খার্মাতায়েন জেলার আফসানা নামক স্থানে জন্ম তার। তাকে ইসলামি স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, চিন্তক, লেখক এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক গণ্য করা হয়। ইবনে সিনা ছিলেন গ্রিক অ্যারিস্টটলীয় দর্শন দ্বারা প্রভাবিত একজন পেরিপেটিক দার্শনিক। ধারণা করা হয় যে, তিনি ৪৫০টি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যার মধ্যে ১৫০টি দর্শনশাস্ত্র বিষয়ক এবং ৪০টি চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক রচনাসহ মোট ২৪০টি গ্রন্থ বর্তমানে টিকে রয়েছে।

তার সর্বাধিক বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে কিতাবুশ শিফা অন্যতম, যেটি একটি দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্বকোষ।
১৯৫৯- তুলসী লাহিড়ী, নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার।
১৯৬৯- জুডি গারল্যান্ড, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী ছিলেন।
২০২০- অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335