শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

একজন সংসদ সদস্য যাঁকে খুঁজতে হয় না  যিনি নিজেই সাধারণ মানুষদের খুঁজে নেন

মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য যিনি ছাত্রনেতা থেকে জননেতায় পরিণত হয়েছেন সারাধরণ মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখতে গিয়ে। ৯০ দশকে রাজনৈতিক ভাবে যখন সোনার বাংলার টুুটি চেপে ধরা হয়েছিলো। তখন স্বাধীনতা ও স্বাধীন মানচিত্র এনে দেয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গণমানুষের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয় স্থল শেখ হাসিনা আবিস্কার করেছিলেন উপ-মহাদেশের প্রাচীনতম সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীণ সভাপতি মো. শাহে আলমকে। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই সময়ে সারা দেশের ছাত্র সংগঠনকে এক করেন (কেবল জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজকে বাদ রেখে) মো. শাহে আলম। এভাবে সমগ্র ছাত্র সংগঠনকে এক করে তৎকালীণ সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা জেনারেল এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে।

সেই আন্দোলনের পদভারে প্রকম্পিত হয়ে জেনারেল এরশাদ সরকার বাংলার মসনদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপরে মো. শাহে আলম সংসদ সদস্য হতে বহুবার মনোনয়ন চেয়েছেন দলের কাছে। তবে জনশ্রুতি আছে তার নিজ এলাকার কিছু মানুষের কৌশলের জন্য শেষ পর্যন্ত তিনি নৌকার টিকেট পাননি। আওয়ামী লীগের অবস্থা যখন সরকারে থাকার পরেও বরিশাল-২ আসনে অনেকটা নরবরে হয়ে পড়ে। তখন ৯০ দশকের ছাত্র আন্দোলনের মূকুটহীন স¤্রাট মো. শাহে আলম স্থানীয় আওয়ামী লীগের অবহেলিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের আলোর বাতিঘর হয়ে ছাঁয়া দিতে থাকেন। সেই ছাঁয়ার তলে একত্রিত হয়ে এখানকার নির্যাতিত ও পরিক্ষিত আওয়ামী পরিবারের মধ্য থেকে আওয়াজ ওঠে শাহে আলমকে নৌকা প্রতীকের মাঝি হিসেবে দেখতে চাই। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এখানকার আওয়ামী লীগের চাওয়া-পাওয়া পূর্ণতায় রূপ নেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সাধারণ আওয়ামী লীগের হৃদয়ে অবস্থান করা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলমকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেয়ে।

তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে পাল্টে যায় বরিশাল-২ আসনের পূর্বের আওয়ামী লীগের জীর্ণদশা। রাজনীতিতে যুক্ত হতে থাকেন ঘরে উঠে যাওয়া বহু নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। মো. শাহে আলম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে তাকে দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও একটি উপহার দেন। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করে। তার নির্বাচনী এলাকা বরিশালের বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে এখনও তিনি এমপি হয়ে উঠতে পারেননি। রয়ে গেছেন ঘরের সন্তান হিসেবে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জানা যায় তাকে খুঁজতে কোন পাইক বা প্যাদা ধরতে হয় না। বেশির ভাগ সময়ই তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় থাকার কারণে সাধারণ মানুষ অনায়াসেই তার কাছে গিয়ে মনের কথা বলতে পারছেন। এজন্য স্থানীয় ভাবে তাকে খেতাব দেয়া হয়েছে এমপি নয় যেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যাকে ঘরে গেলেই পাওয়া যায়। ইতোমধ্যেই এই সাংসদ তার নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলার প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজড করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এমনকি বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার নতুন ভবনের আবার কয়েকটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। অপরদিকে গ্রামকে শহুরের ন্যায় রূপ দেয়ার দৃঢ় প্রকল্প নিয়ে জননেত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রতন্তণাঞ্চলের রাস্তায়-রাস্তায় স্থাপন করেছেন সোলার সিষ্টেম ষ্ট্রীট লাইট। এছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অতীতের সকল রেকর্ডকে পিছনে ফেলে তার নেতৃত্বে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল-২ আসনটি। প্রতিবেদন তৈরিতে সরেজমিনে জানাগেছে এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে যেন বার বার এ জনপদের নৌকার মাঝি করা হয় এমনটাই দাবী আসনটির আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের, যারা কেবল বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও নৌকাকে ভালোবাসেন তাদেরও।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335