বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

পঞ্চাশ টাকার শাক বিক্রি করেই সংসার চলে স্বরতস্বতীর তবুও মুখে লাখ টাকার হাসি 

মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল)প্রতিনিধি: অন্যের জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরণের শাক তুলে এনে বানারীপাড়া পৌরসভার বিজ্রের ওপরে বসে বিক্রি করেণ স্বরতস্বতী বালা। স্বামী যাদব বালা মারা গেছেন প্রায় ১৩ বছর আগে।
সংসার জীবনে তাদের পলাশ (১৬) নামের একজন ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে সে পৌর শহরে রিক্সা চালায়। যাদব বালা প্রায় ২০ বছর আগে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ওপার রাণীরহাট নামক গ্রাম থেকে স্ত্রী ও একমাত্র শিশু পুত্র পলাশকে নিয়ে বানারীপাড়ায় এসেছিলেন।
সে সময় থেকেই স্বামী ও স্ত্রী অন্যের কাছে চেয়ে চিন্তে বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে (অস্থায়ী) বারান্দায় থাকতেন। স্বামী মারা যাবার পরে স্বরতস্বতী বালা বিভিন্ন স্থানে থেকে জীবন নামের তার যন্ত্রণার দিন গুলি পার করছেন।
বাস্তবিকভাবে তার স্থায়ী কোন বাসস্থান নেই। নেই কোন সম্পত্তিও। শাক বিক্রি করে এবং একমাত্র ছেলে রিক্সা চালিয়ে যে টাকা উপার্জন করে তা দিয়ে বানারীপাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাঠের বাজারের পিছনে ছোট্ট একটি ঘরে তারা তারা বসবাস করেণ।
তবে ছেলে পলাশ ঠিকমতো মাকে খরচ দেয়না। সে অন্য রিক্সা চালকদের সাথে মিলে মাদকের বেড়াজালে আটকে পরেছে। যার জন্য সে জেলও খেটেছে। বিপদগামী সন্তান তাই মায়ের তেমন কোন খোঁজ-খবর নিতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারছে না।
তাই অন্যের জায়গা থেকে শাক তুলে ১০টাকা করে ভাগ দিয়ে ব্রিজের ওপরে বসে বিক্রি করে কোনমতে জীবীকা নির্বাহ করছেন স্বরতস্বতি বালা। তবে প্রতেকদিন তিনি তার তোলা শাক গুলো বিক্রি করতে পারেণ না বলেও জানান।
এ প্রতিনিধি জিজ্ঞেস করেছিলো তাকে যে,তিনি কোন ভাতা পান কি না। সে বললেন করোনার সময় যে ভাতা দেয়া হয়েছিলো সেই সময়ে চাল, তেল, ডাল সহ কিছু ভাতা পেয়েছেন।
তবে তার কথায় বোজা গেলো অন্যকোন ভাতা সেটা কি, তিনি তা জানেন না আর বোজেনও না। সরকারি জায়গা সহ একটি নিজস্ব ঘর তার জীবনের বড় একটি স্বপ্ন বলে এক বুক হতাশা ঝারলেন দীর্ঘ এক নিঃশাষের মধ্য দিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335