মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত

মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ  গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
‘পর্যটন শিল্প ও গ্রামীন উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল দাইয়ান, কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক  তাহেরা বানু, সহকারি কমিশনার শাহীন দেলওয়ার, ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সম্বনয়কারি মো. আব্দুস ছালাম, শিক্ষার্থী শাহীফারজানা তাসনীমসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদকি, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যৎ প্রজম্মের জন্য এই শিল্পকে সম্বনিত উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩টি বিষয়ে প্রতিযোগিদের মধ্যে হতে ১৫জন প্রতিযোগিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনের মধ্যে আদালতে ২ জনের স্বীকারোক্তি  ২ আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ  গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় দুই আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার আটক অপর ২ আসামী স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করায় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হযেছে। গত শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত শুনানী শেষে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (চৌকি) আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র আবেদনের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইন্চার্জ এ একেএম মেহেদী হাসান জানান, আজ রোববার দুপুরের দিকে তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৪ আসামীর মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাহাদত স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাদের জবানবন্দি বেকর্ড করা হয়। অপর দুই আসামি জাহিদ ও জহুরুলকে ২ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।
উলে¬খ্য, পৌর শহরের চাষকপাড়ার আনারুল হকের ছেলে শাহাদত হোসেন (২০) ফরিদপুর জেলার চক হরিরামপুর গ্রামের এক তরুণীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের কথা বলে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার শিববাড়ি নিজ এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। এরপর শাহাদত ও তার কয়েকজন বন্ধু দু’দিন ধরে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ চারজনকে গত শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
পলাশবাড়ীতে আমন ফসলে  বিভিন্ন প্রকার পোকা ও ছোসা ইদুরের উপদ্রুপে কৃষকেরা দিশেহারা ফলন বিপযয়ের সম্ভাবনা 
মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ  গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকদের আমন ফসলে বিভিন্ন প্রকার পোকার উপদ্রুপ ও ছোসা ইদুরের উপদ্রুপে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ধানের ফলন বিপযয়ের সম্ভাবনা।
 উপজেলার আমন চাষীদের মাথায় হাত। একদিকে বড় বড় ছোসা ইদুর জমির ধান কেটে সাবাড় করছে অপরদিকে বিভিন্ন পোকার উপদ্রুপে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে । তার ওপর গত দু- সপ্তাহ থেকে ঘন ঘন বৃস্টিপাতে আমন ধান তলিয়ে গেছে। কোথাও বা ধানের শীষ বের হতেই গলায় গলায় পানি হওয়াতে ধান কেটে বাজারে বিক্রি করছে। যে কারণে ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা। এর পর ধানের পচারি রোগ তো আছেই। সব মিলিয়ে উপজেলার কৃষকেরা মহা চিন্তায় দিনাতিপাত করছে।
সরেজমিন ঘুরে  এমন চিত্রই দেখা গেছে প্রতিটি আমন ধানের ক্ষেতে। কোন কোন কৃষক উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিংবা  কৃষি অফিসের পরামর্শ না পেয়ে কীটনাশক দোকান থেকে ঔষুধ কিনে স্প্রে করে জমির ধান পুড়িয়ে ফেলেছেন। এমনি ঘটনা ঘটেছে পলাশবাড়ী পৌরসভার হরিণমাড়ী গ্রামের কৃষক মনজুর মিয়ার জমিতে।কৃষক মনজুর কীটনাশক দোকান থেকে পচারি রোগের ঔষুধ কিনে তা জমিতে স্প্রে করার সঙ্গে সঙ্গে জমির ধান গাছের পাতা লাল বর্ণ ধারণ করে  পুড়িয়ে যায়।
এদিকে উপজেলার কৃষকেরা জানান, উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে  না।  কৃষকেরা আরো জানান, বিভিন্ন প্রকার ঔষুধ স্প্রে করেও ধানের  পোকা রোধ করতে পারছেন তারা । তার ওপর ছোসার উপদ্রুপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব বড় বড় ইদুরের সমান ছোসা বিঘার পড় বিঘা জমির ধান কেটে সাবাড় করলেও কিছু দিয়েই জমির ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। রাত্রে টিন, বাটি, প্লেট কুপিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেস্টাও ব্যর্খ  হচ্ছে। জমির আইলে গিয়ে ছোসাদের হাত – পা ধরেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকেরা জানান, যে যা বলছে, আমরা তাই করছি ছোসার
উৎপাত বন্ধ করার জন্য। ধানের জমির পানিতে লিটারে লিটারে কেরোসিন ঢেলে দিচ্ছি তবুও ছোসা যাচ্ছে না। এভাবে ধান কাটলে আমরা খাব কি?
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, কৃষকেরা যদি জমিতে লাঠির মাথায় পলিথিন কিংবা গাছের ডাল দিয়ে পুঁতে রাখেন তবে ছোসা কিংবা পোকার উপদ্রুপ থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভাব। আর যে ব্যক্তি বা কৃষকের জমির ধান পুড়ে গেছে তাকে অফিসে আসতে বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335