বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ০৫:১১ অপরাহ্ন
সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ সওজ’র সড়ক সংস্কার এর মাধ্যমে অবসান হলো এলাকাবাসীর ভোগান্তি।
উপজেলার পৌর এলাকার জনতা ব্যাংক থেকে নাগরবন্দর পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় মহাস্থান টু আমতলী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কটি সড়ক ও জনপথের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কটির প্রায় ৮ কিলোমিটার কয়েকটি প্যাকেজে সংস্কার করা হয়েছে। বুধবার সড়কটির বাঁকি ১শ ২০ মিটার সড়ক সংস্কার করে সাড়ে চার লাখ মানুষের ভোগান্তি অবসান করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে সড়ক ও জনপথের এই রাস্তাটি হওয়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো সংস্কার করা সম্ভব হয় না। সাধারণ পথচারীরা মনে করেন সড়কটি শিবগঞ্জ পৌরসভার আওতাভুক্ত। জনতা ব্যাংক হতে নাগরবন্দর পর্যন্ত এই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ৮জুন সোমবার থেকে নিজ উদ্যোগে এবং নিজ খরচে সড়কটি খানা খন্দকে ভরা অংশগুলি সংস্কার করেছেন শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক।
এ ব্যাপারে মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। জনগণের দুর্দশার কথা ভেবে কিছু অংশের কাজ নিজ অর্থায়নে সড়কটি চলাচলের যোগ্য করার চেষ্টা করেছি। এতে করে এলাকাবাসী ভোগান্তি থাকবে না। এব্যাপারে সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাইপাস সড়ক হিসেবে মহাস্থান টু আমতলী পর্যন্ত সড়কটি সড়ক ও জন পথের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার কাজ সমাপ্ত করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি প্যাকেজে সড়কটি সম্পূর্ণ সংস্কারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এ ১ কিলোমিটার অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সড়কটি পাকাকরণের মাধ্যমে পুনঃ নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমের জন্য কাজ বন্ধ আছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে। তাহলেই আর জনসাধারণের ভোগান্তি থাকবে না।
শিবগঞ্জে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে
শিবগঞ্জ (বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে লাখ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় অভিভাবক ও সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৩৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তুতি ও চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
উপজেলার শোলাগাড়ি শাহ্ লস্কর জিলানী (রহ:) াখিল মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের তিব্র প্রতিবা জানিয়েছে কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে নিরাপত্তা কর্মী পদে শোলাগাড়ী গ্রামের রহিমের ছেলে মোজাফফর হোসেনকে নিয়োগের বিষয়টি প্রায় চুড়ান্ত করেছেন সুপার ও সভাপতি। দাখিল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার বয়স ৩৬ বছর ৫মাস ২নি। নিয়োগবিধি অনুযায়ী ৩০ বছরের অধিক বয়সের কেউকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান না থাকলেও গোপনে ঐ প্রার্থীর ভোটার আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট জাল করে নিয়োগ প্রদানের জন্য উঠে পরে লেগেছে উক্ত চক্রটি। এছাড়াও আয়া পদে যাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সে সভাপতির নিকট আত্মীয়। এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি এলাকার কেউ জানেনা। নিয়োগের বিষয়টি কেউ যেন না জানতে পারে সে জন্য এলাকায় কম প্রচলিত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
শনিবার সরোজমিনে প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে স্থানীয়রা ভীর জমিয়ে মাদ্রাসাটির সুপার ও সভাপতির নানা অনিয়মের কথা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।
এসময় অত্র মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য ওবায়দুল ইসলাম ও লুৎফুন বলেন, আমাদেরকে নিয়োগ বিষয়ে কোন কিছু না জানিয়ে গোপনে সুপার, সভাপতি ও কো-অপ্ট সদস্য আশরাফুল ইসলাম ঠান্ডা অতি গোপনে অবৈধভাবে নিয়োজ বানিজ্যের পায়তারা করছে। আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একই ধরণের অভিযোগ দায়ের করেছি।
অত্র মাদ্রাসার অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এতোবড় ূর্নীতি মেনে নেওয়া যায়না। কিভাবে বয়স না থাকা প্রার্থীকে নিয়োগ ওেয়ার পায়তারা করছে তার সুষ্ঠ বিহিত হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসাটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে তিনি দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, আমি সুপারকে করোনা ভাইরাসের কারণে মাদ্রাসা বন্ধ াকার মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সমাধান করার জন্য বলেছি, আমি কোন নিয়োগ বানিজ্যের সাে সম্পৃক্ত নই।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে বাধ্য নই।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হজরত আলী বলেন, এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার সাথে দেখা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।