শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

নওগাঁয় সাংবাদিক সুইটের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা,ওসির উক্তি,আগে থেকে গদ লিখা ছিলো তাই, এমনটি হয়েছে

জিটিবি নিউজঃ নওগাঁর মহাদেবপুরের নওহাটা মোড় থেকে স্থানীয় সাংবাদিক সুইট হোসেনকে জনসম্মুখে আটক করার পরও এজাহারে দিলেন মোটরসাইকেল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় ফোর্সের সাহায়তায় তাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েলে কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মামলাকে হালকা করার জন্যই এমন শব্দ লেখা হয়েছে। আর মামলা দায়েরকারী নওহাটার পুলিশ ফাঁড়ীর আই সি,, এসআই ফরিদ উদ্দিন তালুকদার বলেন, এজাহারে এমন শব্দ ব্যবহার
করতে না চাইলেও, ওসি সারের নির্দেশেই দিতে বাধ্য হয়েছি। ওসি স্যার সাংবাদিকের শরীর থেকে ইয়াবা পাওয়া গেছে, এই বলে লিখতে বলেছিলেন। কিন্ত আমরা বলি স্যার জনসম্মুখে তাকে দাঁড় করিয়ে আটক করা হয়েছে,  তাই এমন কথা লেখা ঠিক হবে না। পরে স্যার দৌড়ে পালানোর সময় আটক লিখতে বলেন, তাই আমি লিখেছি।
নওহাটার বাসীন্দা আব্দুর রশিদ জানান, শুধু আমি না শত শত মানুষের মাঝ থেকে সুইট হোসেনকে আটক করা হয়েছে। সুইট হোসেন কোন প্রকার দৌড় বা কোন কিছু করে নাই। সুইট হোসেন বাড়ি যাবার সময় পুলিশ সাদা পোষাকে তাকে থামিয়ে প্রথমে তার শরীর তল্লাশী করে এবং তার শরীর থেকে কিছু না পাওয়ায়, পরে পুলিশ সদস্য মোঃ সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলে দেখতে বলেন এবং মোটর সাইকেলের সিটের সামনের অংশ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে। এবং সুইট হোসেনকে আটক করে। ঐ সময় সুইট হোসেন নিজে তল্লাশির ভিডিও করছিলেন তার মোবাইল ফোন দিয়ে। দৌড়ে পালানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
স্থানীয় শত শত লোকজন ও দোকান্দারেরা জানান, সাংবাদিক সুইট হোসেন এখানে বহু দিন থেকে গার্মেন্টস এর ব্যাবসা ও সাংবাদিকতা করেন। সে কখনোই ইয়াবা খাওয়া বা ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিলোনা। আর পুলিশ তো আমাদের সামনেই সাংবাদিক সুইট হোসেনকে দাঁড় করিয়ে চেক করেছিলো, কোন প্রকার দৌড় বা কিছুই করেন নি। এই গুলো ডাহা মিথ্যে কথাগুলো মামলায় লিখেছে।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম কুমার ( দৈনিক ইত্তেফাঁক), সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন মুরাদ (দৈনিক প্রথম সংবাদ) ও সাংবাদিক এ.কে. সাজু ( ডিবিসি নিউজ) জানান, আমরা বিষয়টি জানার পরে থানাতে গিয়েছিলাম। এবং বিষয়টি নিয়ে ওসি সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন এজাহারের গদ আগে থেকেই  লেখা ছিলো তাই সেখান থেকেই এমনটি হয়েছে। তবে সমস্যা নেই মামলা হালকা হয়েছে এই শব্দ থাকাতে। আপনারা চিন্তা করেন না।
সাংবাদিক সুইট জানান, সারোয়ার পুলিশের ফেসবুক আই,ডি হ্যাক হয়েছে বলে আমাকে দোষারুপ করেছিলো,সে বিষয়টি নিয়ে আমার উপর তার রাগ, অন্য দিকে মিঠুনের সাথে আমার বিরোধ,আর কামরুজ্জামান বাবুর নিউজ করেছিলাম, আর এদের তিন জনের একসাথে গভীর সম্পর্ক। তাই এই তিন জনের যোগ সাজসে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই স্থানীয় সাংবাদিক দিনের শেষে বাড়ি যাবার সময় পুলিশ তাকে থামিয়ে বলেন গোপন সংবাদ রয়েছে তার কাছে ইয়াবা আছে। এরই ভিত্তিতে তাকে তল্লাশী করে এবং তার শরীর থেকে কিছু না পাওয়ায় পরে তার মোটরসাইকেলের সিটের সামনের সামান্য একটু ফাকা স্থান থেকে ৪৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335