শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
বুলবুল আহমেদ,মান্দা: নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক অসহায় আদিবাসী পরিবারের বসতভিটা ও জমি জবর দখলের প্রতিবাদে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী লক্ষীরাম সাঁওতাল । ভূক্তভোগী লক্ষীরাম উপজেলার কুমরইল গ্রামের সামু সাঁওতাল ওরফে সামুর ছেলে । শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫ টার সময় ভুক্তভোগী তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার কুমরইল কানু পাড়া মৌজায় আমার নানার ১৮ বিঘা জমি আমি পাব বলে তিলিহারী গ্রামের ইয়াকুব আলী সরকারের ছেলে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ রানা দীর্ঘদিন থেকে আমাকে এসব কথা বলে আসছিলেন। একপর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন যে, আপনি আপনার নানার বাড়িতে ১৮ বিঘা জমির ভাগ পাবেন। সেই জমিগুলো অন্য মানুষের দখলে। জমিগুলো আমার কাছে বিক্রি করেন।
জমি দখলে নিতে মামলা মোকর্দ্দমাসহ যা কিছু করা লাগে আমি করবো। এব্যাপারে আপনাকে কোন টেনশন করতে হবে না। এমনকি বারবার টাকার লোভ দেখিয়ে ২০১৮ সালে উপজেলার কুমরইল কানু পাড়া মৌজায় আমার নানা মাঝি সাঁওতাল এর নামীয় ১৮ বিঘা জমি স্থানীয় দালাল এবং ভূমি দস্যূদের মাধ্যমে ১৮ লক্ষ টাকায় ক্রয় করার নামে মাত্র ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে উল্লেখিত ১৮ বিঘা জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এরপর জমির দলিল করার সময় ভুল হয়েছে বলে জমির দলিলের ভুল সংশোধন করার জন্য আমাকে ভুল বুঝিয়ে একাধিকবার নিয়ামতপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে নিয়ে গিয়ে ভূয়া কাগজপত্রে আমার বসতভিটার সাড়ে ৪ বিঘা জমি সহ সকল জায়গা জমি পূনরায় লিখে নেয়। বিষয়টি আমার জানা ছিলো না ।
কিন্তু বর্তমানে আমার বসতভিটার জমি ক্রয় করে পার্মিশন করে নিয়েছেন বলে দাবি করে আমাকে আমার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও ওই প্রতারক পুলিশ কর্মকর্তা আমার সকল জমির মালিক বলে দাবী করে আমার বাড়ির পাশে আমার দখলীয় জমিতে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে ধান রোপন করেন। নিয়ামতপুর থানা পুলিশ ওই প্রতারক পুলিশের পক্ষে এসে আমাদের দখলীয় জমিতে যেতে নিষেধ করেন। এসময় আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে থানা পুলিশ দিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। আমার নানার জমির পরিবর্তে প্রতারণা করে আমার বসতভিটার জমি লিখে নেওয়ায় আমি এখন নিরুপায়। আমি পৈত্রিক বসতভিটা ফেরতসহ ওই প্রতারক পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।