শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজঃ আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটি মনে করে যে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ও মহামারী এবং বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বগুড়া -১ ও যশোর -৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচন অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ভার্চুয়াল এ বৈঠকে লন্ডন থেকে যুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনা মহামারির পরিস্থিতি এবং দেশের বন্যার প্রাদুর্ভাব মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি গ্রহণযোগ্য মনে করে নাই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসির উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মনে করে বিএনপি তাতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোট গ্রহণের সপ্তাহ খানেক আগে তা স্থগিত করা হয়। আসন দুটির মধ্যে বগুড়ার আসন শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোরের আসন শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে আসন দুটির উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ৯০ দিন পার হয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সিইসির হাতে থাকা পরবর্তী ৯০ দিন পার হবে যথাক্রমে ১৫ ও ১৮ জুলাই। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির ও আবুল হোসেন আজাদকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, এই দুটি আসনে নতুন করে কোনো মনোনয়নপত্র জমা কিংবা দাখিলের দরকার নেই। যে সব প্রার্থী ছিলেন, তারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। মোট কথা, যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সে অবস্থা থেকেই আবার কার্যক্রম শুরু হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসন এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, সংসদ ভাঙা ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহলে এই মেয়াদের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।