শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জে পিকআপ ও কার্গো ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ২

সুজন মহিনুল প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জে মালবাহী একটি কার্গো ট্রাক(ঢাকা মেট্রো-ট ২২-০৮১৫) ও পিকআপ(ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-১০৯৫)এর মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ২জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার(৫মে)বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সময় রংপুর-জলঢাকা সড়কের উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে পিকআপ চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন পিকআপের আরোহী দুইজন মরিচ ব্যবসায়ী।
নিহত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে জানা যায় তার নাম আবুল কালাম আজাদ (৪৬)। তিনি রাজধানীর গুলশান এলাকার শেখ হাসেম আলীর ছেলে। অন্য দুজন হতাহতের নাম পরিচয় জানা যায় নি। তাদের বয়স চল্লিশের বেশি।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রেদনোয়ানুজ্জামান জানান,খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেন। উল্টে যাওয়া পিকআপের দুই যাত্রী নিচে চাপা পড়ে থাকায় তাদের উদ্ধার করতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগে যায়।পিকআপ চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান ও আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরও অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে কাগোর্টি পাওয়া গেলেও এর চালক ও সহকারী ঘটনার পর পালিয়ে যান। তার মতে পিকআপটি ও আরোহীরা সকলে ঢাকার। তারা পাশের জলঢাকা উপজেলার কোনো হাট থেকে মরিচ সংগ্রহ করে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।আর কাগোর্টি ঢাকা থেকে জলঢাকার দিকে আসছিল।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান,বিকেলের দিকে এই দুর্ঘটনায় হিমেল কার্গো সার্ভিসের কাগোর্টি আটক করা হলেও এর চালক হেলপারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া পিকআপটি ও নিহত চালককে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

 

ডিমলা সহ নীলফামারীতে আরো ৬জন করোনা শনাক্ত আইসোলেশনে না রেখে রোগী সরকারি কোয়ার্টারে!

ক্রাইম রিপোর্টারঃ নীলফামারীতে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা,এক সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ ও এক শিশু সহ আরো ৬জনের নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২ জন। মঙ্গলবার(৫ মে)রাতে এ নমুনার রিপোর্ট হাতে পেয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে রিপোর্টে আরো ৬জন নতুন করে করোনায় আক্রান্তের এই তথ্য পাওয়া যায়।
তারা হলেন-নীলফামারীর সৈয়দপুর শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের ২ জন কর্মকর্তা, নীলফামারী শহরের প্রগতিপাড়ায় ২ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তার স্ত্রী, শিশু,সন্তান ও শ্যালিকা এবং জেলার ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মিডওয়াইফ।তারও বাড়ি জেলার সৈয়দপুরে।

তাদের মধ্যে অন্যান্য ৫ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে না রেখেই আইসোলেশনে রাখার দাবি করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ!এমনকি এ ঘটনায় হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ড, আক্রান্ত মিডওয়াইফ যে সরকারি কোয়ার্টারের দ্বিতল ভবনটিতে থাকত তা সহ নিচতলার ভবনটি এবং আশে-পাশের কোনো কোয়ার্টার, বাড়ি লকডাউন ঘোষনা না করায় উপজেলাবাসী বিস্মিত!তারা বলছে এতে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ।
সরেজমিনে মঙ্গলবার(৫মে)দিবাগত রাত ১টার সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে ওই মিডওয়াইফকে না পেয়ে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,তিনি(মিডওয়াইফ)এখানে নেই,তার সরকারি কোয়ার্টারে আছেন।এ ঘটনায় হাসপাতাল এড়িয়ার ভিতরের অন্যান্য কোয়ার্টারে বসবাসকারীরা সহ আশে-পাশের বাসীন্দাররা আতঙ্কৃত হয়ে পড়েছেন।
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে মধ্যরাত বলে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে ভদ্রতার কথা মাথায় কল দেয়া হয়নি।
ডিমলা মেডিকেল মোড়ের কয়েকজন বাসিন্দা এই প্রতিবেদক কে বলেন, মহামারি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তামাশা করার সুযোগ না থাকলেও অবশেষে তাই দেখে আমরা বিস্মিত।আসলে আমাদের এলাকার মানুষ ভিষন সহজ সরল বলেই আমাদের অনেক সময় সরকারি অফিসাররা(কর্মকর্তারা) আইওয়াশ করিয়ে যা বলেন ও বোঝান আমরা তাই যাচাই-বাছাই না করে সহজেই মেনে নেই।আসলে আমরা কোনো বিষয়ে অতিপ্রয়োজন ছাড়া তা সত্য কি মিথ্যে খুজতে যাই কি?তবে ওই মিডওয়াইফকে সরকারি কোয়ার্টারে এভাবে রাখলে গোপনে হলেও তার আত্মীয়-স্বজন,অন্যান্য কোয়ার্টারের বসবাস কারীরা তার সঙ্গে দেখা করে এবং তিনি নিজেও সুযোগ বুঝে বাইরে বেড়িয়ে অনেকের সংস্পর্শে এসে মারাত্মক ভাবে সংক্রণিত করতে পারেন।করোনায় আক্রান্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক,বিভিন্ন কর্মকর্তা সহ ভিআইপি ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হলে ওই মিডওয়াইফ কেনো চিকিৎসা নিতে পারবেননা?যদিও তিনি এখানে কর্মরত থেকে এই এলাকার মানুষদেরই সেবা দিয়েছেন।তবুও করোনা ভাইরাস নিয়ে তিনি একজন সচেতন ব্যক্তি হয়েও হাসপাতালে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা না নিয়ে কোয়ার্টারে থাকাটা কোনো ভাবেই ঠিক করছেননা।
তারা বলেন,ওই মিডওয়াইফ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে না থেকে অন্যান্যদের সংস্পর্শে এলে তাদের মধ্যে অনেকেইতো এই (হাসপাতাল) মোড়ে কেনা-কাটা করতে আসবেন তাই অবশ্যই ব্যাপক সংক্রণরে ঝুঁকি রয়েছে।ওই মিডওয়াইফকে দ্রুত আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিতে আমরা এখানকার সংশ্লিষ্ট্য ব্যক্তিরা সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উল্লেখ্যঃ-এনিয়ে জেলায় ৩২ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হলেন। এর মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড হতে ৯ জন সুস্থ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছে। এ ছাড়া একজনের পজেটিভ রিপোর্ট আসবার আগেই মৃত্যু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335