বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : বগুড়ায় ট্রেনে জন্ম নেয়া নবজাতক ইয়াকুব ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডেন্ট মুহাম্মদ মেহেদী হাসান পি.এ.এম। তিনি বুধবার বেলা ১২ টায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে গিয়ে নবজাতকের জন্য শীতবস্ত্র, পোষাক ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এসময় তিনি নবজাতক ও তার মায়ের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। তিনি নবজাতকের দরিদ্র পিতা ছকমল অথবা তার বড় ছেলেকে আনসার ভিডিপিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। এসময় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: আব্দুল ওয়াদুদ, সোনাতলা উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাসিমুল ফেরেদৗস, শেরপুর উপজেলা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডেন্ট নবজাতক ইয়াকুবের জন্য নতুন জামা কাপড়, শিশু ও প্রসূতির খাবার, তার মা বাবার জন্য কাপড় এবং নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহ পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ৯৯৯ এ ফোন করলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এখন নবজাতক পুত্র ও মা দুইজনই সুস্থ্য আছেন। বৃহস্পতিবার তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে।
নবজাতকের বাবা ছকমল জানান, তিনি খেটে খাওয়া মানুষ। তার আরও তিনটি সন্তান রয়েছে। এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। কোনমতে তার সংসার চলে। তার সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর হাসপাতালে এসে অনেকেই আর্থিক সহায়তা করেছেন।
জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডেন্ট মুহাম্মদ মেহেদী হাসান পি.এ.এম জানান, তিনি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদটি দেখে বুধবার হাসপাতালে যান। সেখানে ছকমলের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন। ঐ পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা সহায়তা করার পাশাপাশি তার অথবা তার ছেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই লালমনিরহাটে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। এছাড়া তিনি নবজাতকের পরিবারের সবসময় খোঁজ খবর রাখবেন বলে জানান।
উলেখ্য, ২৫ নভেম্বর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মো: ছকমল ও তার সন্তান সম্ভাব্য স্ত্রী নবিয়া বেগম (২৮) ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ায় সন্তান প্রসব করেন। পরে অসুস্থ্য হলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সেবা চান। এতে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রসূতি ও নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি কের। দেয়। এরপর থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ্য রয়েছে প্রসূতি ও নবজাতক ।