বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শাসনগাঁ এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে গার্মেন্টকর্মী শম্পা আক্তার। বুধবার রাতে ওই এলাকার ইউনুস সর্দারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শম্পা স্বামী সুমনের সঙ্গে ইউনুস সর্দারের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
স্বামী সুমন স্ত্রী শম্পাকে ঘুমে রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে এ সময় হঠাৎ করেই ওই বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে নিহত শম্পা আক্তার জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী এলাকার সোহরাব মিয়ার মেয়ে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন। নিহত শম্পার লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাতেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দিকে শাসনগাঁয়ের আছিমতলা ব্রিজ সংলগ্ন ইউনুস সর্দারের ভাড়টিয়া বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়। মুহূর্তেই পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাড়ির ভাড়াটিয়ারা আহত অবস্থায় যার যার রুম থেকে বের হয়ে আসে। শম্পা ঘুমে থাকায় তার স্বামী সুমন তাকে ঘরে তালা মেরে মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছিল। নামাজ শেষে সুমন বাড়িতে এসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখতে পায়।
এ সময় সে তার স্ত্রীকে বাঁচাতে রুমের মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবরে বিসিক ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি শম্পার। আগুনে ইউনুস সর্দারের ২০টি ঘর পুড়ে যায়। বাড়ির ভাড়াটিয়াদের আসবাবপত্রও আগুনে ভস্মীভূত হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, মাগরিবের নামাজের পর পরই আগুন লাগে। ওই বাড়িতে গ্যাসের লাইনও নেই। ওই বাড়ির প্রতিটি ঘরই টিনের। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে।
অন্যান্য ঘরের লোকজন আগুন লাগার পরপর বের হয়ে আসতে পারলেও শম্পা বের হতে পারেনি। সে ঘরের ভেতরই দগ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্বামী সুমনও আহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।