ধর্ষণের ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়

gtbnews
1. ১৬ জুলাই, ২০১৮ / ৫২৭ বার পঠিত

জিটিবি নিউজঃ ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করলে ভিকটিমের পরিবার মান সম্মানের ভয়ে তাকে বিভিন্ন অংকের টাকা দেয়।

রোববার (১৫ জুলাই) ফের মোবাইলে মেসেজ দিয়ে মেয়েটিকে তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কের আহবানে সাড়া দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকলে অবশেষে মেয়েটির বাবা র‌্যাবের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে র‌্যাব সদস্যরা কৌশলে নগরের ইপিজেড থানার বে–শপিং সেন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

মো. রুহুল আমিন বাগেরহাট জেলার মংলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড নয়ারহাট এলাকায় থাকেন।

র‌্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিমের বাবার অভিযোগ পেয়ে ইপিজেড থানার বে–শপিং সেন্টারের সামনে থেকে মো. রুহুল আমিন নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিমতানুর রহমান বলেন, রুহুল আমিনের কাছ থেকে ১টি ক্যানন ক্যামেরা, ১টি পেনড্রাইভ, ২টি মেমোরী কার্ড, ১টি কার্ড রিডার, ২টি মোবাইল সেট এবং ৩টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় তিনবছর ধরে মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে মো. রুহুল আমিন। তার কাছ থেকে মেয়েটির অশ্লীল ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা পেনড্রাইভ ও মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

রুহুল আমিন গ্রেফতারের পর র‌্যাবের কাছে বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান শাহেদা সুলতানা।

শাহেদা সুলতানা জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়ের পরিবার ইপিজেড এলাকায় যে বাসায় ভাড়া থাকেন সে বাসার কেয়ারটেকারের দায়িত্বে আছেন রুহুল আমিন। মেয়েটির বাবা–মা কেউ বাসায় না থাকার সুযোগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে। পরে সেই ছবি–ভিডিও মেয়েটিকে দেখিয়ে এবং মানুষকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।রুহুল আমিন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা

নিউজটি শেয়ার করুন