শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

আদমদীঘিতে তিন যুগের সাক্ষী ‘দুধ ফল’ গাছ আজও দাঁড়িয়ে আছে

হেদায়েতুল ইসলাম আদমদীঘি (বগুড়া) থেকেঃ বগুড়ার আদমদীঘির উপজেলা সদরের চড়কতলা এলাকার নিয়োগী বাড়ীর একটি পুকুরপাড়ে প্রায় তিন যুগের সাক্ষী ২০০ বছরের একটি বিরত প্রকৃতির দুধ ফল গাছ আজও দাঁড়িয়ে আছে। বৃটিশ,পাকিস্থান ও বাংলাদেশ এই তিন যুগের সাক্ষী দুধফল গাছটি নিয়ে বছরের পর বছর  এলাকার মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। স্থানীয়দের দেওয়া ‘দুধ ফল’ নামেই এটি পরিচিত।  এর ফল ছোট আকারের সবুজ বর্ণের। এটির বৃন্ত ছোট, ফুল লম্বাকৃতির ও ফল ডিম্বাকার। ফলটি পরিপক্ক পাকলে সম্পূর্ণ হলুদ বর্ণের হয়ে যায়। আর এ ফলের ভিতর ঘন সাদা ধপধপে দুধের মত আঠালো সু-স্বাদু রস বের হয়ে আসে।

জানা গেছে, বিরল প্রজাতির এই গাছের স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন দুধফল গাছ। কারণ এই গাছের ফল যখন পাকে তখন এর ভিতরে দুধ বের হয় এবং খেতে ভারী মজা। তবে এলাকার প্রবীন ব্যক্তি সত্যেশ চন্দ্র নিয়োগী (ভানু )বাবুর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই গাছটিকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ গবেষণা করেনি যে এটি আসলে কি গাছ। আমরা ছোট বেলা থেকে জেনে আসছি এই গাছের নাম দুধফল গাছ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা গাছের গুণগত মান, ফলের খাদ্যমান, ওষুধি গুণ এবং চারা তৈরির বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করছি।’ গাছটির প্রকৃত নাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এটির বৈজ্ঞানিক কোনো নাম আমরা এখনো জানতে পারিনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে এই ২শ বছর বয়সী দুধফল গাছ চোখেই পড়েনা।  এদিক থেকে এ গাছের গুরুত্ব অনেক। বরং আমরা খুব চেষ্টা করছি গাছটিকে টিকিয়ে রাখতে।

এ প্রসঙ্গে দুধফল গাছটির রোপনকারীর নাতি  প্রবীন ব্যক্তি সত্যেশ চন্দ্র নিয়োগী (ভানু বাবু) বলেন, আমার  দাদা এই পুকুর পাড়ে শখের বসে গাছটি লাগিয়েছিলেন। গ্রামবাসীরা বলেন, এই গাছের ফল পাকলে খেতে বেশ ভারী মজা। তাঁরা স্থানীয় ভাষায় গাছটির নাম দিয়েছে ‘দুধফল’ গাছ। শুধু তাই নয়, এটি সৃষ্টিকর্তার এক অলৌকিক সৃষ্টির দান বলেও মনে করেন অনেকে। বছরের বৈশাখ মাসে ডালে শোভা পায় ফুল, তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর গাছে ফলের আকৃতি ধারণ করে। তারপর মধু মাস জৈষ্ঠ্যের শুরুতেই এই ফলটি আবরণ আর রং বদলে এটি ধারণ করে হলুদ বর্ণের। এই ফলটি গলুদ  বর্ণে পাকলেই এলাকার ছোট,বড়,আবাল,বৃদ্ধ,বনিতা সকলেই যেন এক বার দুধে ভরা মধুর মিষ্টি এই ফলটি খাওয়ার জন্য গাছ তলায় যায়।  তবে গাছটির প্রকৃত পরিচয় না জানার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে এটি নিয়ে প্রচুর কৌতূহলও রয়েছে। এলাকার সবাই এটিকে ‘দুধ ফল’ গাছ নামেই চেনে। এটির বয়স হবে প্রায় ২০০ বছর।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সদরের চড়কতলা গ্রামের নিয়োগী বাড়ীর পুকুর পাড়ে এই দুধফল গাছটির ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে আজ পর্যন্ত কেউ এর নতুন চারা উৎপাদন করতে পারেনি। তবে ওই গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি সত্যেশ চন্দ্র নিয়োগী (ভানু)বাবু শখ করে ২০১৭ সালে বাড়ির আঙিনায় একটি চারা উৎপাদন করে গাছ লাগান। কিন্তু সেই গাছ এখন মোটামুটি বড় হয়েছে। তবে এলাকার অনেকেই বলেন, ‘এর আগে যারা গাছের ছোট চারা এনে লাগিয়েছেন কেউই গাছটি বড় করতে পারেননি।

আদমদীঘির কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ জনগণের অংশগ্রহণ টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি সরকারের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার বিকাল ৩টায় ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে বাজেট অনুষ্ঠানে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৭১ টাকা আয় ও ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৭১ টাকা ব্যয় এবং ৫০ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত রেখে বাজেট উপস্থাপন করেন ইউপি সচিব মোস্তাফিজার রহমান।

উন্মুক্ত বাজেট অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাদেকুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষক আহম্মদ আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হুদা খন্দকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান, ইদ্রিস আলী, আঃ রাজ্জাক, মোখছেদ আলী, গোলাম ফারুক, আঃ রাজ্জাক শাহানা, মহিলা ইউপি সদস্য আয়শা সিদ্দিকা, রেবেকা আক্তার, শ্রীমতি দুলালী রাণী প্রমূখ। এছাড়াও অধিবেশনে সকল ওয়ার্ডের সম্মানিত ভোটার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335