শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজঃ গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের আছে ৩২০ জনের একটি দল। এই দলের সদস্যরা গাজীপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন ট্রাফিক সহকারী’ নামে পরিচিত। তাঁদের প্রত্যেকের ন্যূনতম বেতন ১০ হাজার টাকা। মাথাপিছু বেতন ধরলে তাঁদের সবার মাসিক বেতন হয় ৩২ লাখ টাকা। যদিও জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এই সড়ক-পরিসেবায় তাঁর প্রতি মাসে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকার বেশি।
জাহাঙ্গীর বলছিলেন, গত চার মাসে দুই কোটি টাকার ওপর তাঁর খরচ হয়েছে। তাঁর ভাষ্য অনুসারে এক বছর এই সেবা চালু রাখলে তাঁর খরচ হবে ৬ কোটি টাকা। কিন্তু নির্বাচনের হলফনামায় এই ফাউন্ডেশনের কথা উল্লেখ করেননি জাহাঙ্গীর আলম। এমনকি বিপুল এই অর্থ কোথা থেকে দিচ্ছেন, কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, সে সম্পর্কে হলফনামায় কিছুই উল্লেখ করেননি তিনি। অবশ্য তাঁর দাবি, এই অর্থ তিনি দান করেছেন। তাই উল্লেখ করেননি।
জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের অধীনে কেবল ‘ট্রাফিক সহকারী’ রয়েছেন তা–ই নয়। এই ফাউন্ডেশনের আওতায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছেন তিনি। জাহাঙ্গীর বলেছেন, এ বছর ১০ কোটি টাকার বৃত্তি দিয়েছেন। এ ছাড়া ১০০টি ল্যাপটপ দিয়েছেন, নিজ খরচে বিদেশে পর্যন্ত পাঠিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থীকে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি থাকলেও ৫৭টি ওয়ার্ড কমিটি-শূন্য। এসব ওয়ার্ডে সক্রিয় জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন। দলীয় লোক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, নারী—এই চার ক্যাটাগরিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীরের নিজস্ব একটি কমিটি আছে। অনেকেই এদের ‘জাহাঙ্গীর লীগের’ সদস্য বলে থাকেন। এসব পরিচালনা করতে খরচ হয় কোটি টাকা। এসবের কোনো তথ্য হলফনামায় নেই।
অর্থাৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ট্রাফিক সহকারী ও বৃত্তি বাবদ খরচ করেছেন প্রায় ১২ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েক কোটি টাকা ফাউন্ডেশন থেকে ব্যয় করা হয়েছে।