শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

জিটিবি নিউজঃ   গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা হামলার বিষয়ে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতারসহ মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

ফ্রান্স বলছে, দুমায় আসাদ বাহিনীর গ্যাস হামলার ব্যাপারে তাদের কাছে প্রমাণ আছে। সিরিয়াকে তারা কড়া জবাব দেবে।

সিরিয়ায় হামলার পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ভবিষ্যৎ ব্যবহার ঠেকাতে আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাঁর সরকার একমত। এ বিষয়ে মিত্রদেশগুলোর যেকোনো পদক্ষেপে ভূমিকা রাখবে যুক্তরাজ্য।

সিরিয়ায় হামলা চালাতে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত দুটি যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ডুবোজাহাজ প্রস্তুত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন নির্দেশের অপেক্ষা।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সম্ভাব্য হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া ও সিরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সিরিয়ার দিকে কোনো মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র এলে তা তারা ভূপাতিত করবে। শুধু তা-ই নয়, পাল্টা জবাবও দেওয়া হবে।

লেবাননে নিয়োজিত রুশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থান গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সক্ষমতা রাশিয়ার আছে কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল কাজ করছে।

রাশিয়া অনেক দিন ধরেই তার সমরাস্ত্র আধুনিকায়নে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষার প্রধান হুমকি রাশিয়া।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে নিউজউইক এক প্রতিবেদনে বলেছ, মার্কিন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও দেশটির অন্যান্য অগ্রসরমাণ অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সাম্প্রতিককালে দেশটির এই তৎপরতা নতুন করে বেড়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ডগলাস ব্যারি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রাশিয়ার আছে। কিন্তু সিরিয়ায় এই কাজটি করা তাদের জন্য সহজ হবে না।

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে যেসব সামরিক ব্যবস্থা কাজ করতে সক্ষম, এর মধ্যে মিগ-৩১ ফক্সহৌন্ড ইন্টারসেপটর এয়ারক্র্যাফট, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম এসএ-২১ ও এসএ-২২ অন্যতম।

রুশ সেনাদের উপস্থিতির অংশ হিসেবে সিরিয়ায় এসএ-২১ ও এসএ-২২ ব্যবস্থা মোতায়েন আছে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ডগলাস ব্যারির মতে, সিরিয়ায় রাশিয়ার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে সীমিত। এটাই তাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335