বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে: শীতের আগমনে লেপ তৈরীর কারিগররা এখন ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে। হেমন্ত, শীত ও বসন্তকালে শীতের তীব্রতা বেশি দেখা দেয়। তাই এই সময়ে শীতের কবল থেকে রক্ষা পাবার জন্য শীতের পোশাক ও বিছানার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। এখন শীতের পোশাক আর শীতের বন্ত্র কম্বল ক্রয় ও লেপ তৈরীর করতে হয়। তাই শীতের আগমন লক্ষ্য রেখে লেপ-তোষক তৈরীর বোডিং এর মালিক-কারিগররা ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। শিমুল তুলা ও কাবাশ তুলার লেপের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। শিমুল তুলা ২৮০, কাবাশ তুলা ১৮০ ও গার্মেন্টস তুলা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। যার যে সমর্থ রয়েছে, তা হিসেব করেই লেপ তৈরী বা ক্রয় করে। শিমুল তুলার ভালো লেপ তৈরী করে নিতে ১ হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা খরচ হয়। কাবাশ তুলার লেপ তৈরী করে নিতে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা লাগে। গার্মেন্টস তুলায় লেপ তৈরী করে নিতে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা লাগে। লেপ-তোষক তৈরীর প্রতিষ্ঠান গুলোতে নতুন লেপ-তোষক তৈরীর ব্যাপক অর্ডার আসছে। তাই লেপ-তোষক তৈরীর প্রতিষ্ঠানের মালিক-গারিগরদের কঠিন ব্যাস্ততার মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরী করছে। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফাগ্লুন মাসে শীতের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। তাই এ সময়ে বিশেষ করে লেপের প্রয়োজনও অনেক বেশি। যতই শীত বাড়বে ততই লেপ তৈরীর প্রতিষ্ঠানের মালিক-কারিগরদের ব্যাস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই অনেকেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বেই লেপ তৈরী করে নেয়। নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর, কুন্দারহাট, ওমরপুর, রণবাঘা, শিমলা, কুমিড়া পন্ডিতপুকুর, হাটকড়ই ও ত্রিমোহনী বাজারে লেপ-তোষক তৈরীর প্রতিষ্ঠানের মালিক-কারিগরদের কর্মব্যাস্ততা লক্ষ্য করা গেছে। নন্দীগ্রাম বাজারের ভাই ভাই বোডিং হাউজ’র প্রোঃ মুক্তার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক আমরা উন্নতমানের লেপ, তোষক, বালিশ, গদি, জাজিম, চায়না চাদর ও বেডশিট সরবরাহ করছি। প্রতিদিন অনেক অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। কারিগর আবু সাঈদ ও মো.সাগর মিয়ার সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের এ সময়টা লেপ তৈরীর কাজে অনেক বেশি ব্যাস্ত থাকতে হয়। ক্রেতাদের চাহিদামত জিনিস তৈরী করে দেই। সে জন্য এখন দিনে ও রাতে পরিশ্রম করতে হচ্ছে।