gtbnews
- ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ / ৪৪৪ বার পঠিত
মইনুল ভূইয়া বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে জেলা শহরেরর কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউপির ঘাটিয়ারা গ্রামের কাউসার মোল্লার স্ত্রী। তারা জেলা শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউপির ঘাটিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট কাউসার মোল্লা একই গ্রামের বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস গত দুই বছর আগে জেলা শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় তিন সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পারিবারিক এবং দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ ও কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার সকালে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে ছুড়িকাঘাত ও মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। বিষয়টি তার সন্তানেরা সরাসরি প্রত্যেক্ষ করেছেন। পরে এ্যাম্বুলেন্স আনার কথা বলে দ্রুত বাসার আলমারির ড্রয়ার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে কাউসার পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর নিহতের সন্তান সহ স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
নিহতের বড় মেয়ে ইসরাত জাহান মীম বলেন, সকালে মা বাবার রুমে চিৎকার শুনে আমি আর আমার ভাই দৌড়ে রুমে যাই। গিয়ে দেখি বাবা মায়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে রেখেছে। তারপর জানতে চাইলে বাবা বলেন যে, মায়ের মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। কিন্তু আমরা দেখি মায়ের পেটে ছুড়ি লাগানো আর অনেক রক্ত ঝড়ছে। পরে বাবা আমাদের ধাক্কা দিয়ে বাসার আলমারির ড্রয়ার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স আনার কথা বলে আমাদের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে চলে গেছে।
নিহতের বড় ভাই নূর মোহাম্মদ বলেন, অনেক দিন ধরেই তাদের পারিবারিক সমস্যা চলছিল। শ্বশুর বাড়িতে গেলে বোনের উপর অত্যাচার করে বলেই সে কলেজ পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আজ সকালে আমার বোন জামাই ছুড়িকাঘাত করে বোনকে হত্যা করেছে। পরে বালিশ চাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার কাউছারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি। আমার বোনের ২কন্যা ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে কাউছার পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে পারব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।