শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ-অগ্নিকাণ্ডে ১৪ দলের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় যে গ্যাস বিস্ফোরণ হচ্ছে এবং অগ্নি সংযোগের যে ঘটনাগুলো, যে যাই বলুক না কেন আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে অনেক সন্দেহও হয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর সময়েও এরকম থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন- এরকম বিভিন্ন ঘটনা ঘটতো।

সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিকে দৃষ্টি দিয়ে তিনি বলেন, পরে যা ঘটলো তা তো দেখেছি। আজকে কোনো জায়গায় গ্যাস বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ- এটা কোনো কথা হতে পারে না।

এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত, কেউ হস্তক্ষেপ করবে না, কে জড়িত বের হয়ে আসবে।

সরকারের সতর্ক থাকা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এ জিনিসগুলোর অন্তর্নিহিত ব্যাপারগুলো সামনে আসলে বোঝা যাবে কে এর সঙ্গে জড়িত। এসব জিনিস ধামাচাপা না দিয়ে আমরা মনে করি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।

১৪ দল হালুয়া রুটির দল নয় দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দল আদর্শিক দল। এখানে কোনো ফাঁটল নেই। যেহেতু আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, অনেক দল অনেক কিছু পায়নি, তারপরও জোটে আছে।

দ্বিধাবিভক্তি নেই দাবি করে তিনি বলেন, ১৪ দল নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। সংবিধানের চার মূলনীতির ওপরে, সংবিধানের ওপরে জিয়া কুঠুরি আঘাত করেছিল। জিয়া দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছিল। দেশে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার দেওয়া হবে না।

‘দেশে সংবিধান ভিত্তিক রাজনীতি চলছে, চলবে। গণতান্ত্রিক পন্থায় আইনানুযায়ী হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ। এখানে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।’ যোগ করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, কেউ যদি না আসে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারা যদি মনে করে নির্বাচনের আগেই তারা পরাজয় মেনে নিলো, নিক।

এক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ তারা আগেও কয়েকবার করেনি। তাতে কী এসে-গেছে। নির্বাচন হয়েছে এবং সরকার গঠনও হয়েছে, পরিচালিতও হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট মৃনাল কান্তি দাস, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরন রায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় পার্টি-জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী সহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335