বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার সুজানগরের দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাতুল হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তার অবস্থান ১৭৬তম।
রাতুলের বাড়ি সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামে। তার বাবা মনোয়ার হোসেন পেশায় একজন কৃষক। রাতুল অবসরে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করতেন। মা রেবেকা খাতুন গৃহিণী। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাতুল বড়।
শিক্ষাজীবনের সবকটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রাতুল। এছাড়া সরকারি বৃত্তিসহ বিভিন্ন মেধা নির্বাচনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন তিনি।
রাতুল হাসান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবো। সেই লক্ষ্যে আমি লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। আমি একজন আদর্শবান চিকিৎসক হয়ে নিজ গ্রামসহ আমাদের উপজেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।’
রাতুলের হাইস্কুল জীবনের শিক্ষক ও মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘রাতুল খুবই মেধাবী ছাত্র। তার কৃতিত্বে আমরা গর্বিত।’
একই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, ‘রাতুল শুধু তার পরিবার নয়, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গ্রামবাসীর মুখও উজ্জ্বল করেছে। তার জন্য দোয়া করি।’
কথা হয় রাতুল হাসানের বাবা মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছেলের সাফল্যে আমার খুব আনন্দিত। আল্লাহপাক আমাদের পুরস্কৃত করেছেন। সে যেন একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে।’
রাতুল হাসানের চাচা আনোয়ার হোসেন লিটন বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাতুল লেখাপড়ায় ছিল অদম্য মেধাবী। দরিদ্রতাকে সে জয় করেছে।
রাতুলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাতুল তার স্বপ্ন পূরণ করে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে উঠুন। তার জন্য সে দোয়াই করি।