বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. আল-আমিন (৩০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় মারা যান আল-আমিনের স্ত্রী মোছা. সুখী আক্তার (২৫)। এ নিয়ে এই ঘটনায় মারা গেলেন দুইজন।
বুধবার (১ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে সোমবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুখী আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন।
গত রোববার দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার হিমু মার্কেট কাঠেরপুল এলাকার একটি বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়। সুখী ছাড়া দগ্ধ হন তার স্বীমা মো. আল-আমিন (৩০)। এছাড়া মোছা. আলেয়া বেগম (৬৫), তার ছেলে জামাল উদ্দিন (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী রফিক (৩৫) দগ্ধ হন। দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। বর্তমানে সেখানে তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন।
দগ্ধ আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল ওইদিন জানান, আল-আমিন ও তার স্ত্রী সুখী আক্তার পোশাকশ্রমিক ছিলেন। তিনি নিজেও একজন পোশাকশ্রমিক। দুপুরে বাসায় এসে রান্না করার সময় চুলায় ম্যাচ ফায়ার করতেই পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দুজন এবং আশপাশের আরও তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, আল-আমিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হিমু মার্কেট কাঠেরপুল এলাকায় একটি দোতলা ভবনের একতলায় থাকতেন। এ দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, রফিকের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ আলেয়া ও জামাল জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।