GTBnews
- ৮ আগস্ট, ২০২২ / ১৫৭ বার পঠিত
খাঁন মোঃ আঃ মজিদ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি,
৮|৮|২০২২ ইং তারিখে বেলা ১১ টায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোঃ রাসেল খাঁন (১৯) নামের এক যুবক শরীরের চুলকানির ওষুধ নিতে কাউন্টারে টিকিট কাটতে গেলে ওই হাসপাতালের নার্স ও কয়েক জন অপরিচিত জনগণ সন্দেহ মূলক ধরে কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন।
তারপর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাংবাদিক খাঁন মোঃ আঃ মজিদকে এসআই আলমগীর মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার বাসা কোথায়? সাংবাদিক খাঁন মোঃ আঃ মজিদ উত্তরে বলেন, কেন ভাই? ঠিকানার কী দরকার? এসআই আলমগীর আবার বলেন, রাসেল খাঁন আপনার কী হয়? সাংবাদিক উত্তরে বলেন, ছেলে হয়। এসআই আবার ঠিকানা জানতে চান।
সরল বিশ্বাসে ঠিকানা দিলে ঠিকানা অনুযায়ী বাড়ির ওপরে গিয়ে দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন এবং ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই বাড়ি তল্লাশি করতে চাইলে সাংবাদিক খাঁন মোঃ আঃ মজিদের স্ত্রী মোছাঃ আশা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ঘরে যা টাকা-পয়সা, সোনা-দানা, মোবাইল ফোন আছে তা দিতে বলেন। তাহলে ছেলে মোঃ রাসেল খাঁনকে ছেড়ে দিবেন। কিন্তু সাংবাদিকের স্ত্রী তাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ১ নং আসামী করবে বলে হুমকি দেন। তারপর গুহ লক্ষ্মীপুর মডেল টাউন এলাকাবাসীর সামনে রাসেল খাঁনকে বেদম মারপিট করতে করতে থানায় নিয়ে যান।
গুহ লক্ষ্মীপুর মডেল টাউন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বিনা অপরাধে সন্দেহ মূলক একজনকে অপরাধী করা কোন আইনে আছে? প্রুফ বিহীন কাউকে কখনো অপরাধী করা যায় না। সে অপরাধী কিনা সর্বপ্রথম তদন্ত করতে হবে। তারপর সত্য মিথ্যা যাচাই করে অপরাধী সাব্যস্ত করতে হয়। ছেলের অপরাধে বাবা-মা অপরাধী হতে পারে না। যদি সে অপরাধী হয়ে থাকে এই সমাজ, পুলিশ প্রশাসন তাকে অপরাধী বলে গণ্য করছে।
এদিকে আনুমানিক দুপুর ২ টার দিকে সাংবাদিক খাঁন মোঃ আঃ মজিদ এসআই আলমগীরের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি সাব ইন্সপেক্টর সুজনের উপস্থিতিতে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি সাংবাদিক তো কী হয়েছে? আপনার নামেও আমি মামলা দিব।
এ বিষয়ে সাংবাদিক খাঁন মোঃ আঃ মজিদ মনে করেন, এটি একটি বানোয়াট ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র। কেননা, সাংবাদিক পরিচয় দানকারী স্ট্যাম্প ভেন্ডার হেমায়েত হোসেন হিমুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের, সাধারণ ডায়েরি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনিক দপ্তরে অনুলিপি করায় উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ বাহিনী। আজও হেমায়েত হোসেন হিমুর বিরুদ্ধে পুলিশি তল্লাশি না করে সাংবাদিক পরিবারের ওপরে এতো চাপ সৃষ্টি কেন? এ প্রশ্ন জনমনে। দুই লক্ষ টাকা আত্মসাত করে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী স্ট্যাম্প ভেন্ডার হেমায়েত হোসেন হিমু পুলিশের নাকের ডগায় বিভিন্ন অপকর্ম, প্রতারণা করে চলেছে। একাধিক অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সে পার পেয়ে যায়? তার বিচার করতে পারলো না পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু, বিনা অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করে মোঃ রাসেল খাঁনকে 134 এ চালান করার প্রস্তুতি করছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
উপরোক্ত বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত পূর্বক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মাননীয় ঢাকা বিভাগীয় রেঞ্জ ডিআইজি,
মাননীয় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, মাননীয় ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের নিটক জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সাংবাদিক পরিবারটি।