শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
নাজমুল হাসানঃ পদ্মা সেতু উদ্ভোধন উপলক্ষে খিলক্ষেতে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে শশী আক্তার শাহীনার নেতৃত্বে। শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্ধোধন করা হয়েছে।দীর্ঘতম সেতুটি উদ্ধোধন করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ আজ তার স্বপ্ন পূরণ প্রত্যক্ষ করছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল শনিবার সকালে মাওয়া প্রান্তে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ফলক উম্মোচন করেন, যেখানে বিদেশী কূটনীতিকসহ হাজার হাজার বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত ছিলেন। পদ্মা সেতু উদ্ধোধন উপলক্ষে সারাদেশে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।খিলক্ষেত থানা মহিলা আওয়মীলীগ নেত্রী শশী আক্তার শাহীনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের প্রাক্কালে শনিবার খিলক্ষেতের বিভিন্ন রাস্তায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও শোথাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদ্মাসেতু উদ্ভোধন উপলক্ষে সারাদিন খিলক্ষেত এলাকা জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।শশী আক্তার শাহীনা বলেন,আমাদের গৌরব ও সক্ষমতার প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত পদ্মা সেতু। খিলক্ষেত থানা মহিলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য মিছিল নামাপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে সড়ক মহাসড়ক ও বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে।এসময় উপস্থিত ছিলেন খিলক্ষেত থানা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ০৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওয়ানা হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজহাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেন সাড়ে ৩ হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকরা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।