বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজঃ বগুড়ার সোনাতলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ৯টি চরে রোপনকৃত গাঞ্জিয়া ধান ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের মাথায় হাত পড়েছে।
জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ওই উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ৯টি চরের ২৫ হেক্টর জমির গাঞ্জিয়া ও মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। উপজেলার ৯টি চরের ১৮টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার কৃষক চলতি বছরের দু’দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে যখন আউশ আমন ও গাঞ্জিয়া ধান রোপন করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে অসময়ের বন্যায় নদীর তলদেশে রোপনকৃত ধানসহ ৯টি চরে রোপনকৃত গাঞ্জিয়া ধান ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
প্রকৃতির সাথে লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকা চরাঞ্চলের মানুষগুলো চলতি বছরের দুই দফার বন্যার পর আউশ, আমন ধানের পাশাপাশি গাঞ্জিয়া ধান ও মরিচ রোপন করে দু’চোখে রঙিন স্বপ্ন দেখছিল। তারা ভাবছিল এবছরের দু’দফায় বন্যায় ক্ষতির ঘাটতি তারা ৩য় দফায় রোপনকৃত ধান ও মরিচ ক্ষেতে পুষিয়ে নিবে। তাদের সেই স্বপ্ন অসময়ের বন্যায় চুরমার করে দিয়ে গেল।
এ বিষয়ে তেকানীচুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামছুল হক মন্ডল জানান, প্রকৃতির সাথে লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকে চরাঞ্চলের মানুষেরা। এবার তিন দফা বন্যায় তাদের দু’চোখের রঙিন স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, রবিবার যমুনা নদীতে পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আহমেদ জানান, গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলের ২৫ হেক্টর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে চরাঞ্চলের কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।