মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ গতকাল রবিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফছার আলী লিখিত বক্তব্য বলেন, বিহার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের নতুন কমিটি কে আমরা বৈধ কমিটি হিসাবে সমর্থন করি এবং পুরো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক হবার জন্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার শাসন আমলে আমরা চরম ভাবে মূল্যায়িত হয়েছি, অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এই উপজেলার ৭০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন। বিহার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের আগের প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী ও অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন প্রতিষ্ঠান নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। আমাদের এই উপজেলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদেরকেও মূল্যয়ন করা হয়নি।
আমরা সকলে মিলে বর্তমান নতুন কমিটিকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো। যাতে করে আগামী নতুন প্রজন্ম কে শিখতে, জানতে পাড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকান্ড, নতুন প্রজন্ম কে মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে না জানালে আমাদের স্বার্থকতা থাকবে না। বর্তমান নতুন কমিটির সভাপতি বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড মোঃ মহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ চামেলী খাতুন সহ ২২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করায় আমরা গর্বিত।
আমরা যে প্রতিষ্ঠানের অহংকার হিসাবে বেঁচে থাকবো সেখানে কিছু আগাছা ভর করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের সন্তান বর্তমান সভাপতি তার উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন টিকে রাখবেন। আগের প্রতিষ্ঠানের যে সভাপতি ও অধ্যক্ষ নিয়োগ ছিল তা আমরা জানতাম না। যারা এই নতুন কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ, সংবাদ সম্মেল ও মিথ্যা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই উপজেলার
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাব মুর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তাদেরকে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যম উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার মোহন্ত দিলিপ, আক্কাছুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক বেলাল, আলতাফ হোসেন মন্ডল, নওফেল আহমেদ, আফজাল হোসেন, ফুল বর, আব্দুল লতিফ, ওবাইদুর রহমান খশরু, খালেক গাছু প্রমুখ।
শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রাক্তন শিক্ষকের গাছপালা কেটে জায়গা দখলের চেষ্টা
সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে সহকারী প্রাক্তন শিক্ষকের ২২ শতক বসত বাড়ির জায়গার গাছ কর্তন করে বেদখলের চেষ্টা, এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক শিবগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট নারায়ণপুর গ্রামের মনোমোহন এর দখলীয় বসত বাড়ীর ২২ শতক জায়গার উপর রোপন কৃত দীর্ঘদিনের কাঁঠাল গাছ, আম গাছ, বাঁশঝাড়, কলাগাছ গতকাল রবিবার সকাল ১০টার সময় একই গ্রামের তালেব আলীর ছেলে ইলাহী, আফছার আলীর ছেলে
মাহবুল, সরবেশ এর ছেলে ইজ্জত আলী সহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হাতে-লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে গাছ পালা কেটে ফেলে লুটতরা করে নিয়ে যায়। পরে তারা জোরপূর্বক ভাবে উক্ত জায়গায় প্রাচির নির্মাণ করার জন্য ভিত্তি প্রস্থাপন করার চেষ্টা করে। এব্যাপারে শিক্ষকের এর ছেলে সুজিৎ কুমার বলেন, এ জায়গায় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা থাকা স্বত্বেও প্রতিপক্ষরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিবগঞ্জে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর কর্তৃক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নির্যাতনের অভিযোগ
সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের দক্ষিন কৃষ্ণপুর গ্রামের ওসমান প্রামানিক এর ছেলে এর ছেলে জুয়েল প্রামানিক গত দেড় মাস পূর্বে দুবাই থেকে দেশে ফিরেন। সে মোকামতলা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের হাফিজার রহমান এর মেয়ে রিমা খাতুন কে গত ১১ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। জুয়েল দেশে ফিরে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যতা সৃষ্টি হলে স্ত্রীকে রেজিঃ ডাক যোগে কাজী অফিসের মাধ্যমে গত ১৪ আগষ্ট তালাক প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে স্ত্রী রিমা খাতুন ডাক যোগে প্রাপ্ত তালাক নামা ১৬ আগষ্ট গ্রহন করে।
তালাক প্রাপ্ত হওয়ার পর স্বামীর মান সম্মানের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবীর নাটক সাজিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এর পূর্বে তার স্ত্রী ঘর সংসার চলাকালীন সময়ে স্বামীর মূল্যবান জিনিসপত্র সোনা দানা টাকা পয়সা নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এ বিষয়টি ধাপা চাপা দেওয়ার জন্য রিমা বাবা হাফিজার রহমান বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জুয়েল বলেন, আমার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী রিমা কে কখনো যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করিনি। আমার বিয়ের ৪০ হাজার টাকা মহরআনা ধার্য্য করা হলে তার মধ্যে ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মিমাংশার হলেও সে আমার মান সম্মানের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।