gtbnews
- ২৫ জুলাই, ২০২০ / ৩৮৫ বার পঠিত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ জেলার অন্যান্য নদীর বাঁধ বালি ফেলে তৈরি করার কারণে তা পানির তোড়ে দুর্বল হয়ে পড়ায় চলতি বন্যায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উক্ত এলাকার মানুষেরা। জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি উপজেলা ও সাঘাটা উপজেলার বাঁধ বন্যার তোড়ে এবারও ধ্বসে যাওয়ার অবস্থা হলে বালির বস্তা ও মাটি ফেলে কোনরকমে তা রক্ষা করা গেছে। তবে তা কতটুকু টিকবে তা এখন চিন্তার বিষয়।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা তীরের ৭৮ কিলোমিটার বাঁধসহ ঘাঘট, করতোয়া, নুরুল্যার বিল, আখিরা নদীর ওপর রয়েছে সব মিলিয়ে ২৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। নিয়মিত সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন আগে তৈরি সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি ও সাদুল্লাপুর উপজেলা রক্ষা বাঁধগুলো বেহাল। অন্তত ৫২টি পয়েন্টে প্রতিবার জোড়াতালি দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও বন্যা ও নদীভাঙ্গন গ্রাস করে মানুষের সহায় সম্পদ। ফুলছড়ি উপজেলায় প্রায় তিনশ’ কোটি টাকার ব্রহ্মপুত্র ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনও অগ্রগতি মাত্র ৫০ভাগ। সময়মত সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলতি বন্যাতেও হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধ।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধ্বসে গেলে অবর্ণনীয় ক্ষতির মুখোমুখি হবেন লাখ লাখ মানুষ।