গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি আজ বুধবার (২২ জুলাই) বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তি রয়েছে।  জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলার চর কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝানঝাইড় কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কালাসোনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । এজন্য বিদ্যালয় ৪টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে জিগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।

এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে এখনও হাটু থেকে কোমর পানি থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পানিবন্দী চরাঞ্চলের মানুষগুলো। দ্বিতীয় দফার বন্যায় নদী ভাঙনে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নের চরগুলোর পানিবন্দি মানুষেরা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। ফলে মানুষরা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ বুধবার দুপুর পযন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।##