gtbnews
- ২২ জুলাই, ২০২০ / ১৫৬ বার পঠিত
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। নদী ভাঙ্গন অব্যাহত। নতুন করে পানিবন্ধী হচ্ছে অনেকে। অপরদিকে জেলার সাঘাটা উপজেলার বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নেই নদী ভাঙ্গনের শিকার। হলদিয়া ইউনিয়নের কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দক্ষিণ
দিঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী, গোবিন্দপুর, বেড়া ও নলছিয়া গ্রাম, ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যা, আদর্শ গ্রাম, সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশহাটা, গোবিন্দী, উত্তর সাথালিয়া, হাসিলকান্দি গ্রাম ও ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামের নদীভাঙ্গনে প্রায় ৫শ’ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া জুমারবাড়ী ইউনিয়নের ব্যাঙ্গারপাড়া, থৈকড়েরপাড়া, কাঠুর, পূর্ব আমদিরপাড়া, কুন্দপাড়া গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জুমারবাড়ী ইউনিয়ন সহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫২ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি।
এদিকে পানিবন্দি পরিবারদের মধ্যে অনেকেই এবং নদী ভাঙ্গনের শিকার এসব পরিবার স্কুল, ওয়াবদা বাঁধ সহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। আশ্রিত পরিবারেরা হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য ও জ্বালানীর সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়া সহ ব্রীজ, কালভার্ট এর সংযোগ রাস্তা ধ্বসে যাওয়ায় জন সাধারণের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান জানান, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ পরিবারই পানিবন্দি। এছাড়াও নদী ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। জুমারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী প্রধান জানান, আমার ইউনিয়নের ব্যাঙ্গারপাড়া, থৈকড়েরপাড়া, কাঠুর, পূর্ব আমদিরপাড়া, কুন্দপাড়া গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সরকারী ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ পর্যন্ত আমার ইউনিয়নে বে-সরকারী সংস্থার কোন সহায়তা পাওয়া যায় নি।
Like this:
Like Loading...
Related