শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

১০ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় বিতারিত গৃহবধু, মামলা তুলে নেয়ার হুমকি শশুর বাড়ীর

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে স্বামীর চাওয়া ১০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়া শশুর বাড়ী থেকে বিতারিত হয়েছে গৃহবধু, হয়েছেন অমানুষিক নির্যাতনের শিকার। স্থানীয়ভাবে দেন-দরবারে স্বামীর সংসারে যেতে যান স্ত্রী শারমিন আক্তার, কিন্তু যৌতুকলোভী স্বামী-শশুরবাড়ীর লোকদের কারণে মিমাংসা না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে মামলা দিয়েছেন ভুক্তভোগী গৃহবধু। পাষন্ড স্বামী এখন জেল হাজতে থাকায় শশুর ও ননদের হুমকি মাথায় নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ওই গৃহবধু।

অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগী গৃহবধু জানান, ২০১৯ সালে পরিবারিক ভাবে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের শাহাজাহান আলীর মার্স্টাস পাস মেয়ে মোছা. সারমিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় পার্শ্ববতী রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আগ্রাদ্বিগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মমিনের সাথে। বিয়ের ৩মাস পর যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল মমিন মোটর সাইকেল দাবী করে, না দিতে পারলে শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন, গরীব বাবা মেয়ের সংসারের কথা ভেবে দেড় লাখ টাকায় ১টি মোটরসাইকেল কিনে দেয়। মাস খানেক পর আবারও স্ত্রী সারমিনের নিকট ১০ লাখ টাকা দাবী করে স্বামী আব্দুল মমিন। যৌতুকের এত বড় অংকের টাকা না দিতে পারায় চলতি বছরের ২৯ মার্চ শশুর বাড়ীর লোকজন মারপিট করলে পরদিন বাবা

শাহাজাহান আলী মেয়েকে নিজের বাড়ীতে নেন। এক পর্যায়ে কোন প্রকার মিমাংসা না হওয়ায় থানায় মামলা করলে স্কুল শিক্ষক আব্দুল মমিন ও শশুর গ্রেফতার হন। স্বামী হাজতে থাকলেও শশুর জামিনে এসে মেয়ে রওশন আরাকে সাথে নিয়ে বাড়ীতে এসে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেন শশুর আব্দুস সাত্তার ও ননদ রওশন আরা।

স্ত্রী সারমিন জানান, আমার বাবা গরীর হিসেবে ৪ ভরি সোনা ও দেড় লাখ টাকা এনজিও থেকে ঋণ করে দিয়েছে আমার সুখে জন্য, কিন্তু কপাল খারাপ জন্য এমন স্বামী পেয়েছি, আমার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করলে নাকি ২৫ লাখ টাকা পাবে, তাই আমাকে তাড়াতে এই নির্যাতন’
এ বিষয়ে আগ্রাদ্বিগুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ জানান, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা হওয়ায় সহকারী শিক্ষক আব্দুল মমিনকে ম্যানেজিং কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

তবে অভিযুক্ত শশু আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাকে যখন জেল খাটতে হয়েছে, তাহলেই সেই বউকে নিয়ে সংসার করা যাবে কি না ভাবতে হবে, আর আমরা কোন টাকা পয়সা চাইনি বা হুমকিও কাউকে দেইনি।

এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ওসি মো. আবদুল মমিন জানান, ঘটনার বিষয়ে ধামইরহাট থানায় চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল একটি মামলা হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে ১ নং আসামী এখনও হাজতে আছে, বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে নতুন ভাবে অভিযোগ করে একটি জি.ডি দায়ের করেছে বাদী সারমিন আক্তার।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335