বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারী সদরের চারালকাটা নদী খননের বালু নদীর দু’ধারের ফসলি জমিতে ফেলে পাউবোর ঠিকাদার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ৮৭ কৃষক পরিবার ক্ষতিপূরণের দাবিতে রবিবার(১০মে)সকালে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী ও দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা বর্মতল গ্রামবাসী চারালকাটা নদীর পাড়ে ক্ষতি পূরণের দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধন চলাকালে ক্ষতিগ্রস্থ্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গোলাম রব্বানী, আজিজুল হক, অতুল সাধু, সাফিয়ার রহমান প্রমূখ।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বলেন, নদীর দু’ধারের প্রায় ৩শ একর আবাদী জমির ফসল ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ঠঠি কাদার নদী খননের সময় ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো সরকারি কাজে বাধাঁদানের নামে মামলার হুমকী দিচ্ছেন।
নীলফামারীতে করোনায় আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। রবিবার(১০) ভোরে নিজবাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত ওই নারীর বাড়ী জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম গোলমুন্ডা গ্রামে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো।
রবিবারের মৃতের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ আবু হাসান রেজওয়ান কবীর।স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী গত কয়েকদিন ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হন। ৬ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৮ মে পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে তাকে তার নিজবাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল।এর আগে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সোলেমান মাষ্টার পাড়া গ্রামের ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও মৃত্যুর পরে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, নীলফামারী জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ৪০ জন। এর মধ্যে জেলা সদরে ১৫ জন, ডিমলা উপজেলায় ১০ জন, জলঢাকা উপজেলায় ৬ জন, সৈয়দপুর উপজেলায় ৬ জন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন। জেলার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর হোম আইসোলেশনে ছিল ৬ জন। তার মধ্যে রবিবার(১০মে) এক নারীর মৃত্যুবরন করেন।