শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
সাজু মিয়া শিবগঞ্জ(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ সরকারী লীজ নেওয়া পুকুরে জোরপূর্বকভাবে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারপিট আহত ২
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউপির বিলহামলা গ্রামের হায়দার আলীর পুত্র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক গং ত্রিলোচ মৌজার ত্রিলোচ গ্রামে সরকারী খাস পুকুর লিজ নিয়ে দীর্ঘ ০৪ বছর পূর্ব থেকে মাছ চাষ করার এক পর্যায়ে ত্রিলোচ গ্রামে মুঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ির পার্শ্বে পুকুর হওয়ায় গত ০৫ ই মে মুঞ্জুরুল ইসলাম গং ৭-৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাছ ধরার জাল সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোরপূর্বকভাবে মাছ ধরতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক গং বাধা দিলে ওৎ পেতে থাকা বাদেশ আলী বাচ্চু গং আর্তকিত ভাবে হামলা চালায় এবং আব্দুর রাজ্জাককে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে।এসময় আব্দুর রাজ্জাক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে গ্রামাবাসি তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ হাসপাতালে ভার্তি করে দেয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের ভাই আব্দুল জলিল সাগিদারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের নিকট থেকে মাঝে মধ্যেই মুঞ্জুরুল গং চাঁদা দাবি করে এবং পুকুর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। তাদের কথায় সাড়া না দেওয়ার কারনে তারা এই হামলা করে মারপিট করেছে। বিষয়টি ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
শিবগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বাগমারা
মাদ্রাসার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বাগমারা দাখিল মাদ্রাসায় উপড়ে পড়া একটি করির গাছ মাদ্রাসার উপড়ে পড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বাগমারা দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৯০ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি গড়ে উঠে। মাদ্রাসাটি হওয়ার পর থেকে এলাকার অনেক শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা অর্জন করে শিবগঞ্জে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা অর্জন করে যাচ্ছে এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার আলো পাচ্ছে। কিন্তু গত ৭ই মে কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসার সামনে থাকা একটি বড় করির গাছ উপড়ে পড়ে মাদ্রাসাটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এই প্রতিষ্ঠানটি খোলার সাথে অনেক শিক্ষার্থীকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে হবে। এলাকার সচেতন মানুষের দাবি অচিরেই প্রতিষ্ঠান সংস্কার করা দরকার। বিষয়টি নিয়ে অত্র মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হায়দার আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মাদ্রাসা ফান্ডে নাই কোনো টাকা, কী দিয়ে মাদ্রাসাটি সংস্কার করবো? কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসাটির এভাবে ক্ষয়ক্ষতি হবে আমি ভাবতেও পারিনি। চিন্তায় মাথা ধরছে। সরকার যদি কিছু সহযোগিতা করে, তাহলেই সম্ভব এই মাদ্রাসা সংস্কার করা। সরকার সহযোগিতা না করলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম বিঘœ ঘটবে।