শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। এ আসনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু ভোটের সব প্রস্তুতিই তারা নিয়েছেন। ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন এবং সবার অংশগ্রহণে একটি ‘প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন’ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা। জাসদ নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মেনে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করছি। সংঘাতের যদিও কোনো আশঙ্কা নেই, তার পরও সংঘাত হলে মোকাবিলার প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল, পশ্চিম গোমদণ্ডী, পূর্ব গোমদণ্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলায় রয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার জন ভোটার। নগরের ৫টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৩৫৪ ভোট। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৭০টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ১৯৬টি। এর মধ্যে বোয়ালখালী অংশে রয়েছে ৬৯টি ভোটকেন্দ্র ও ৪১৬টি ভোটকক্ষ। নগরীর অংশে রয়েছে ১০১টি ও ৭৮০টি ভোটকক্ষ। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি নির্বাচিত হন জাসদ নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদল। এর পর জাসদের একটি অংশ আলাদা হয়ে গঠন করে বাংলাদেশ জাসদ। বাদল ওই অংশের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে বাংলাদেশ জাসদ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না পাওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাদল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হন। গত বছর ৭ নভেম্বর ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদলের মৃত্যু হলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।