বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

ভারি বর্ষণ থাকবে আজও

জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে মেঘলা আকাশ থেকে ক্ষণে ক্ষণে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে বৃষ্টি ও বাতাস। কোথাও কোথাও বৃষ্টি না থাকলেও, কখনো তিরতিরে বাতাস আবার কখনো দমকা বাতাসে দুই দিন ধরে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে দেশজুড়েই।

রাজধানী ঢাকাতেও এমন পরিবেশ। গতকাল সাপ্তাহিক বন্ধে মানুষকে অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলে। পথে-ঘাটে শুক্রবারের মতো আজ শনিবারও তেমন ভিড় নেই। ঢাকার বাইরে উত্তরাঞ্চলসহ অনেক এলাকার মানুষ গায়ে রীতিমতো শীতের পোশাক চাপাতে বাধ্য হচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাস অনুসারে আরো দু-এক দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগে অস্থায়ীভাবে মাঝারি দমকাসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আজ শনিবারও। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে আর সর্বনিম্ন তামপাত্রাও (১৮ দশমিক ৮) ওই টাঙ্গাইলেই।

গতকাল বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারেনি। বিশেষ করে, খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। কার্তিকের এ বৃষ্টিতে উত্তর জনপদের রংপুরে গত বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি ঝরে। গতকাল ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টির কারণে শীত নেমে আসায় মানুষজনকে রাতে কাঁথা বা হালকা কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়েছে।

এদিকে, দুই সপ্তাহ ধরে উত্তর জনপদের রংপুরে সন্ধ্যা থেকে নামছে কুয়াশা। হালকা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশিরকণা। তার ওপর গত দুই দিনে সাগরের লঘুচাপ দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর, কাউনিয়াসহ এ অঞ্চলে।

রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক অরজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘শুক্রবার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার। সাগরের লঘুচাপের প্রভাব পড়েছে রংপুর অঞ্চলে। এ অবস্থা আরো কয়েক দিন বাড়তে পারে। এতে রংপুর অঞ্চলে আগাম শীত অনুভূত হচ্ছে।’

বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুই দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম করিডর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া লঞ্চ, ফেরি ও সি-বোট ঘাটের চিরচেনা রূপ পাল্টে গেছে। যাত্রী পারাপারের ব্যস্ততা কমে গিয়ে প্রাণচঞ্চলতা কমে গেছে।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু দুই দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ার ফলে একেবারেই কমে এসেছে যাত্রী পারাপার।

বর্তমানে এ নৌ রুটে ৮৭টি লঞ্চ, প্রায় ২৫০টি সি-বোট; রো রো, ড্রাম, কে-টাইপ, মিডিয়াম, ছোটসহ মোট ১৩টি ফেরি চলাচল করলেও তাতে যানবাহন ও যাত্রী সংখ্যা খুবই নগণ্য। তবে শিমুলিয়া ও কাঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335