শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

শিশুদের পড়ার দক্ষতা বাড়াতে ৫ সুপারিশ

জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : প্রাথমিক স্তরের শিশুদের পড়ার দক্ষতা ও অভ্যাস বাড়াতে পাঁচটি সুপারিশ করেছেন বিশিষ্টজনরা। সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে কোমলমতি শিশুদের পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে বলে তাঁরা আশাবাদী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক মতবিনিময়সভায় এসব সুপারিশ করা হয়।

‘মানসম্মত শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরে বাংলা বিষয়ে পড়ার দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস উন্নয়ন’ শীর্ষক এই সভা যৌথভাবে আয়োজন করে ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

সুপারিশগুলো হলো—পাঠের বিষয় আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় করা; পরিচিত পরিবেশের শব্দ ও বিষয় থাকতে হবে; বাহুল্য তথ্য ও বড় পরিসরের অনুচ্ছেদ বর্জন করতে হবে; যুক্তবর্ণের শুদ্ধ উচ্চারণের জন্য ক্রম অনুসারে অনুশীলন অপরিহার্য, তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে যুক্তবর্ণ ও ফলার ব্যবহার যথাসম্ভব কম থাকা বাঞ্ছনীয়; প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বর্ণ, শব্দ ও বাক্যের পুনরাবৃত্তি হবে এবং তা শ্রেণির ক্রমানুসারে কমতে থাকবে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক মো. শাহ আলম।

‘মানসম্মত শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরে বাংলা বিষয়ে পড়ার দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস উন্নয়ন’ বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শ্যামলী আকবর। স্বাগত বক্তব্য দেন ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আক্তার সভাপতিত্ব করেন।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, মানবশিশুর সুষ্ঠু বিকাশে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সমান গুরুত্ব প্রদান করছে। পড়তে না শিখলে শিশুর পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে না। এ জন্য প্রাথমিক স্তরে পড়ার দক্ষতা ও অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আক্তার বলেন, শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়ন অপরিহার্য। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে, বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে পঠন দক্ষতাসহ পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে শিশুর সার্বিক বিকাশে পঠনবান্ধব পাঠ্যপুস্তক ও সহায়ক-সম্পূরক সামগ্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335