শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

জি কে শামীম ও ক্যাসিনো খালেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন

জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদকে অবৈধ সম্পর্দ অর্জনের পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে পৃথক পৃথক আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুন আগামী ২৭ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে দুই মামলায় এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। দুই আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

গত রবিবার এই দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। একই দিন অনুসন্ধান কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।

এ ছাড়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরো ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জিকেবি অ্যান্ড কম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদেও বৈধ উৎস পায়নি দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় চার কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদেও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের অভিযানে তার গুলশানের বাসা থেকে ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদে এর কোনো উৎস দেখাতে পারেননি খালেদ। এসব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে  মোট পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335