বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
নয়ন রায়,জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : তিন চাকার যান গুলো নিষিদ্ধ করার পরেও আইনের সামনেই অবৈধভাবে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা,অটো ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। দিনের বেলায় শহরের মহাসড়ক মাটিডালি থেকে মহাস্থান সহ মোকামতোলা, বনানি থেকে শেরপুর,চারমাথা সহ বিভিন্ন মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। বিশেষ করে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার বেপরোয়া চলাচল বেশি। এরা বড় বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে। অনেক সময় এদের জন্য বড় রকমের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আকারে ছোট হলেও এদের চলাচল অস্বাভাবিক। মহাসড়কের ওপরে সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা সবুজ সিএনজি ও অটোরিক্সা সব সময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শেরপুরের বিভিন্ন সমিতি আর চাঁদা আদায়ের রশিদে চলা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সিএনজি গুলো স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে করছে ভারি। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কের ওপরে বসানো হয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড। এসকল সিএনজি চালকদের কাছ থেকে দৈনিক চেনচাঁদার নামে আদায়কৃত হাজার হাজার টাকা রাতের আধারে হয় ভাগ বাটোয়ারা। মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধ এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার ২২টি জাতীয় মহাসড়কের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে সিএনজি অটোরিকশা, অটোটেম্পু এবং অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ২০১৫ সালের ০৭ই আগস্ট। কিন্তু ২০১৮ সালেও এই অবৈধ চলাচল বন্ধ হইনি। সিএনজি চালকদের গ্যাস সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সিএনজি চালকরা সকাল ৮টা পর্যন্ত দু ঘণ্টা করে মহাসড়ক সংলগ্ন সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নিতে পারবে। কিন্তু এই গ্যাস তোলার নাম করে সারাদিন-রাত এরা চলাচল করছে মহাসড়কে। দিনের বেলায় কিছুটা ভয়ে চালালেও রাতের বেলা শুরু হয় বেপরোয়ায়।