শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টেলিফোন কথোপকথনের পর এ উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তৎপর কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে তুরস্ককে সবুজ সংকেত দিয়েছে আমেরিকা।
স্থানীয় সময় রবিবার তুরস্কের সংবাদ সংস্থা ডিএইচএ জানায়, ট্যাঙ্কসহ তুরস্কের সৈন্যের বহর এরই মধ্যে সিরিয়ার সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছে। রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার তুরস্ক সংলগ্ন সীমান্ত থেকে সৈন্য সরাতে শুরু করেছে। তুরস্ক আগেই ওই সীমান্ত দিয়ে হামলা শুরুর হুমকি দিয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী তুরস্ক খুব শিগগিরই সিরিয়ার উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ অভিযান সমর্থন করবে না বা তাতে জড়াবে না।
কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিসি) যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে এসডিসি বলেছে, আমরা তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র অনাপত্তির বিষয়গুলো সুরাহা না করেই তুরস্ক সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে। এখন সিরিয়ার উত্তর এবং পূর্বে আগ্রাসন শুরু করতে চলেছে তুরস্ক।
সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোনো সতর্কবার্তা ছাড়া যেকোনো রাতে আমরা সিরিয়া সীমান্তে আসতে পারি।
জাতিসংঘ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সিরিয়ায় জাতিসংঘের কর্মকর্তা পানোস মৌমতসিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, জানি না কী ঘটতে চলেছে। সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
এদিকে সৈন্য সরাতে শুরু করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এ কথাও বলেছে যে, গত দু’ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইএসমুক্ত করা অঞ্চলগুলোতে এখন থেকে আইএস-এর যে কোনো তৎপরতার দায়িত্ব তুরস্ককে নিতে হবে। এই তথ্য জানা যায় ডয়েচে ভেলে বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।